টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৫২ আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৪
পুলিশ-বিজিবির যৌথ অভিযানের সময় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানিয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোশতাক আহমদ ওরফে মুছু (৩৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. আছাদুজ্জামান চৌধুরীর পাঠানো বিবৃতি জানানো হয়, মোশতাক আহমদ ওরফে মুছু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ‘ইয়াবা গডফাদার’। তিনি টেকনাফের উত্তর জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা।
শনিবার সন্ধ্যায় মোশতাককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মোশতাক জানান, তার কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আছে। পরে রাত ২টার দিকে বিজিবির নায়েক মো. হাবিলউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টহল দল মোশতাককে নিয়ে উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযানে যায়।
যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মোশতাকের সহযোগীরা টহল দলের ওপর অতর্কিতে গুলি চালাতে থাকে। ধারালো অস্ত্র নিয়েও আক্রমণ করে তারা। এতে বিজিবির দুজন এবং পুলিশের এক সদস্য আহত হন। যৌথবাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। শব্দ থামার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোশতাককে উদ্ধার করা হয়।
তাকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মোশতাককে কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মোশতাককে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজিবি জানায়, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছরের ৪ মে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার পর্যন্ত র্যাব-বিজিবি-পুলিশের সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এবং ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ‘অন্তর্কোন্দলের’ কারণে কক্সবাজার জেলায় ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফে নিহত হয়েছে ৩৫ জন। বাকি তিনজন জেলার অন্য উপজেলার।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে