ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চিকিৎসককে মারধর, ধর্মঘটে অচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৩  
আপডেট :
 ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০৬

চিকিৎসককে মারধর, ধর্মঘটে অচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল

ভুল চিকিৎসায় আনোয়ার হোসেন নামে এক রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলো।

শনিবার দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ ধর্মঘট কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলো।

জানা গেছে, ৪ এপ্রিল দুপুরে ওই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন চিকিৎসক ডা. সোহান, ডা. শিরিন ও ডা. নিশুসহ আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে শনিবার মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। এ সময় তাদের বুঝিয়ে কর্মস্থলে ফেরানোর চেষ্টা করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আবছার। কিন্তু চিকিৎসকরা তাদের আশ্বাসে আস্থা নেই বলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

মানববন্ধনে বিএমএর কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, যদি চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেয়া না হয়, তাহলে সারা বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে। প্রশাসনের উদ্দেশে বলতে চাই- আগে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। অন্যথায় আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে পারব না।’

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি হাসিবুন নাসিম সোহান বলছেন, একজন রোগী মারা গেছে। আমরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তারপরও স্বজন নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর দফায় দফায় হামলা করেছে। হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অন্যথায় আমরা কর্মস্থলে ফিরে যাব না। যতদিন পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হবে ততদিন কর্মবিরতি চলবে।

অন্যদিকে মারা যাওয়া আনোয়ারের স্বজনদের অভিযোগ, আরেক রোগীর ভ্যাকসিন তাদের রোগীকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ইন্টার্নদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে কে বা কারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে তা তারা জানেন না।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। অনেকে নিজেদের রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসা না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান চেয়েছে তারা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত