ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেশা করতে বাধা, স্কুলছাত্রের পিটুনিতে রক্তাক্ত শিক্ষক

  সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৯, ১৭:৩৭

নেশা করতে বাধা, স্কুলছাত্রের পিটুনিতে রক্তাক্ত শিক্ষক

নেশা করতে নিষেধ করায় এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে তারই ছাত্র ও তার স্বজনরা। মঙ্গলবার সকালে পৃথক দুটি স্থানে হামলার শিকার হন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে।

নির্যাতনের শিকার রঘুনিলী মঙ্গলবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক আইয়ূব আলী (২৮)। তাকে মারধর করেছে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাব্বির হোসেন ও তার স্বজনরা। ছাব্বির উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বিপাচান গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

শিক্ষক আইয়ূব আলী অভিযোগ করে বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির কখনও শ্রেণি কক্ষে বসে আবার কখনও বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে নেশা করত। তার সহপাঠীদের অভিযোগে সোমবার তাকে বিদ্যালয়ে ডেকে শাসন করা হয়। এ সময় তর্কে জড়ালে তাকে একটা থাপ্পড় দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাব্বির, তার ভাই রাব্বি, চাচা আলাউদ্দিন এবং রাব্বির বন্ধু কামরুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় উলিপুর বিপাচান ব্রিজ এলাকায় পথ আটকে লাঞ্ছিত করে।

এতেই ক্ষান্ত হয়নি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হলে তারা আবারো বেলা সাড়ে ১১ দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সামনে স্টিলের স্কেল দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে জখম করে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে তারা পরীক্ষায় বসে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় চলাকালীন বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে ছাব্বির ও তার স্বজনরা গণিত বিভাগের শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করে। পরে তাদের প্রতিবাদের মুখে পালিয়ে যায়।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবি উজ্জামান নান্নু বলেন, তিনি লাইব্রেরিতে বসে ছিলেন। বাইরে বিশৃংখলার বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ খবর দেন। তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন বলেন, একজন শিক্ষককে মারধরের ঘটনা অনাকাংখিত। নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত