ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কলকাতার বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচিত

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫৭

কলকাতার বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচিত

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মওলানা আযাদ কলেজ) বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যের উম্মোচন হলো শনিবার। উন্মোচন করলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জাবেদ খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪২ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়ে স্মিথ স্ট্রিটের বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন।

বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটি উম্মোচনকালে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু বেকার হোস্টেলের যে কক্ষে থাকতেন সেখানে তার আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করতে পারাটা আমি গর্বের বিষয় মনে করি।

মন্ত্রী বলেন ‘এ বছরের মার্চ মাসে আমি ভারত সফরে এসে বেকার হোস্টেল পরিদর্শনকালে জাতির জনকের ভাস্কর্য দেখি এবং অনুধাবন করেছিলাম তার সাথে ভাস্কর্যটির অমিল রয়েছে। তখন আমি বাংলাদেশে ফিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করি। তখন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর একটি সাদৃশ্যপূর্ণ ভাস্কর্য নির্মাণ করে কলকাতার বেকার হোস্টেলে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন’।

তিনি কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্কের কথা এবং এ দেশে বঙ্গবন্ধুর যে সকল স্মৃতি আছে তা সংরক্ষণ করে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন ভাস্কর লিটন পাল রনি।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত