ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সহকারী কমিশনারের ড্রয়ার থেকে ইয়াবা চুরি, কারাগারে কনস্টেবল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১১:১২

সহকারী কমিশনারের ড্রয়ার থেকে ইয়াবা চুরি, কারাগারে কনস্টেবল

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের (এসি) অফিসের ড্রয়ারের তালা ভেঙে ৫ হাজার পিস ইয়াবা চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জাল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলে সোহেল রানার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার কাকনা গ্রামে। তার বাবার নাম জিন্নাত আলী।

বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় রমনা থানায় ইয়াবা চুরির মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক অশোক কুমার সিংহ।

প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ্য করেন, কনস্টেবল সোহেল রানা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, তিনি সেদিন রাতে ডিবি অফিসে ঢোকেন এবং সহকারী কমিশনারের অফিসের ড্রয়ারের তালা ভেঙে ৫ হাজার পিস ইয়াবা চুরি করেন। চুরি করা এসব ইয়াবা গেন্ডারিয়া থানার একটি মাদক মামলার আলামত। পরে ওই ইয়াবাগুলো সোহেল রানার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। সোহেলের বাসায় খাটের জাজিমের নিচে ওই ইয়াবা পাওয়া গেছে। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি স্ক্রু ড্রাইভারও সোহেলের বাসায় পাওয়া যায়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৬ আগস্ট রাত আড়াইটার দিকে এক ব্যক্তি মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ের পুকুরপাড়ে আসেন। এরপর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও পেশাদার খুনি দমন টিমের (ডিবি পশ্চিম) অফিস কক্ষের সামনে আসেন ওই ব্যক্তি। রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে ইয়াবা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে তিনি ডিবি অফিসের প্রধান গেটে যান। এরপর রিকশা করে চলে যান শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্মরণির দিকে।

পরদিন শনিবার সকাল ৭টার সময় ডিবির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সুফিয়ান প্রধান গেটে দায়িত্ব পালনের জন্য আসেন। অফিস থেকে ডিবির জ্যাকেট নেয়ার জন্য সহকর্মী ফারুকের কাছ থেকে চাবি নেন তিনি। পরে অফিসে গিয়ে আবু সুফিয়ান দেখেন, দরজার সামনের বারান্দার সিলিং এবং ভেতরের দক্ষিণ কোণের সিলিং খোলা। এমন অবস্থা দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ডিবির সহকারী কমিশনার মজিবর রহমানকে এই ঘটনা জানান। পরে কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, মজিবর রহমানের কক্ষের থাই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি দরজা ও তিনটি ড্রয়ারের তালা ভাঙা।

মামলার অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, দ্বিতীয় ড্রয়ারে একটি মাদক মামলার আলামত হিসেবে ৫ হাজার পিস ইয়াবা রাখা ছিল। যার দাম আনুমানিক ১০ লাখ টাকা। পলিথিনের ব্যাগে রাখা ইয়াবা চুরি হয়। তখন বিষয়টি ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এরপর ইয়াবা চোর ধরার জন্য ডিবি অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। ডিবিতে কর্মরত সদস্যদের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হলে, ঘটনার দিন রাতে ঢোকা ওই ব্যক্তি কনস্টেবল সোহেল রানা বলে শনাক্ত হয়।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খলিফা ইয়াবা চুরির অভিযোগে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত