ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা, বেশিরভাগ প্রবাসী

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫৯  
আপডেট :
 ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ২২:০৯

বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা, বেশিরভাগ প্রবাসী
প্রতীকী ছবি

সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশকারীদের রক্ত পরীক্ষা না করা, নিষিদ্ধ পল্লী ও ভাসমান যৌন কর্মীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, জন্ম নিরোধক ব্যবহারে অনীহার কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাণঘাতী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকদের ভাষ্য মতে, প্রবাসে অবস্থানরতদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকা এবং পর্যাপ্ত কাউন্সেলিংয়ের অভাবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে। তাদের দেয়া তথ্যনুযায়ী, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ বছর নতুন করে এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। এর মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং নয়টি শিশু। এই ১১ মাসে এই রোগে মারা গেছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, চারজন নারী ও একটি শিশু।

এছাড়া নতুনদের নিয়ে এ বছর চট্টগ্রাম অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৪২১ জন। এদের মধ্যে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩২৬ জন।

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৫ জন। ওই বছর সারা দেশে নতুন করে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৭৯ জন।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্তের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছয় হাজার ৪৫৫ জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে ২০১৮ সালেই মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের।

চট্টগ্রাম মেডিকেলের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের চিকিৎসক এবং এআরটি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. সঞ্জয় প্রসাদ দাশ বলেন, চট্টগ্রামের এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্তদের একটি বড় অংশ প্রবাসী। এদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছিলেন। অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক বা অন্যান্য কারণে তারা এ ভাইরাসের জীবাণু বহন করে আনছেন, এদের মাধ্যমেই তাদের স্ত্রীর মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে। স্ত্রী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সন্তানের মধ্যে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে অথবা মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমেও এটি সংক্রমিত হতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত