ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

আজ হানাদার মুক্ত দিনাজপুরের ৫ উপজেলা

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৪৮

আজ হানাদার মুক্ত দিনাজপুরের ৫ উপজেলা

১৯৭১ সালের এই দিনে দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হওয়া উপজেলাগুলো হচ্ছে- বীরগঞ্জ, বোচাগঞ্জ, কাহারোল বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ।

বীরগঞ্জ

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বীরগঞ্জ পাকিস্তানি হানাদান মুক্ত দিবস। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে বীরগঞ্জ এলাকাকে শক্রমুক্ত করে মুক্তি বাহিনী এবং মিত্র বাহিনীর যোদ্ধারা। পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও জেলা ৩ ডিসেম্বর শক্রমুক্ত হওয়ার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর (পাক বিহার) অভিমুখে পালিয়ে যাবার সময় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। হানাদার বাহিনী বীরগঞ্জ থেকে পিছু হটে বীরগঞ্জ-কাহারোল উপজেলা সীমান্তে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে ভাতগাঁও ব্রিজের পুর্ব প্রান্তে অবস্থান নেয়। ৬ ডিসেম্বর সকালে বীরগঞ্জের অলিগলির মুক্ত বাতাসে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

বোচাগঞ্জ

আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বোচাগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে শত্রুমুক্ত করেছিল বোচাগঞ্জের মাটি। বোচাগঞ্জের মাত্র ১১৫ জন দামাল ছেলে ও একজন আনসার সদস্যসহ মোট ১১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রাণপন লড়াই চালিয়ে এই দিনে বোচাগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করেন। সম্মুখযুদ্ধে ধনতলা গ্রামের আব্দুর বারেক ও এনামুল হক, কাকদুয়ার গ্রামের চিনিরাম দেবশর্মা, বিহাগাঁও গ্রামের কাশেম আলী, রনগাঁও ইউনিয়নের ধনঞ্জয়পুর গ্রামের গুলিয়া বাংরু, বনকোট চুনিয়াপাড়া গ্রামের বীর্যমোহন রায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বমোট ১৩ জন মানুষ শহীদ হন। বর্তমান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দুই ভাইকে পাক বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। এখনও তারা নিখোঁজ রয়েছেন ।

বিরামপুর

১৯৭১ সালের এই দিন সকালে স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দখল থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী বিরামপুর উপজেলা এলাকাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করেন।পাকিস্তানি সেনারা ৪ ডিসেম্বর পাইলট স্কুলের সম্মুখে ও ঘাটপাড় ব্রিজে প্রচণ্ড শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তীরমনিতে শেল নিক্ষেপ করে। লোমহর্ষক ও সম্মুখযুদ্ধে কেটরা হাটে ১৬ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত ও শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

নবাবগঞ্জ

হানাদার বাহিনীর দখল থেকে আজকের দিনে ভোরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী নবাবগঞ্জ উপজেলা এলাকাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করেন। মুক্তি বাহিনীরদের আক্রমণের কারণে পিছু হটতে থাকে হানাদার বাহিনী। একপর্যায়ে উপজেলার ভাদুরিয়া নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে মিত্রবাহিনীর তুমুল লড়াই হয়। সেখান থেকে হানাদাররা মিত্রবাহিনীর নিকট পরাজিত হবার আশঙ্কায় পিছু হটতে হটতে ঘোড়াঘাট এলাকায় যায় এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।

কাহারোল

আজ ৬ ডিসেম্বর কাহারোল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দখল থেকে আজকের দিনে ভোরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী কাহারোল উপজেলা এলাকাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করেন। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তি বাহিনী কাহারোল বাজারে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশি পতাকা উত্তোলন করে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত