ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর পাশেও অনেক রাজাকার আছেন : গাফফার চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রীর পাশেও অনেক রাজাকার আছেন : গাফফার চৌধুরী

‘স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার সব জায়গায় রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) পাশেও অনেক রাজাকার আছেন। তাদের নাম বললে আগামীতে আমার দেশে ফেরাও বন্ধ হয়ে যাবে’- এমন মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক, কলামিস্ট, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' কালজয়ী এ গানের রচয়িতা ও ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী।

ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলে, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতের লোকও আছে। আওয়ামী লীগে কত রাজাকার আছে। বিপদের সময় এরা ভয়ানকভাবে আসে। রাজাকারদের লিস্ট করার আগে এই রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা উচিত। অনেক রাজাকার আছে যাদের জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সম্মান দিয়েছিল। যেমন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ফারুক। তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই ফারুককে পরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখনো রাজাকার আছে। অনেক রাজাকার আছে। এখনো আছে। এমনকি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার আশে পাশেও আছে।....তাঁদের নাম বললে আমার আর ঢাকায় আসা হবে না। তাই আমি নাম বলতে চাই না। এই হচ্ছে অবস্থা।

রোববার দুপুর একটার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আবদুল গাফফার চৌধুরী এসব কথা বলেন। ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘এখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হচ্ছে। দেখা যাবে, এ তালিকা তৈরি করছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা।’

‘আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতের লোক ঢুকে গেছে। তারা এখন বঙ্গবন্ধুর নাম বেশি বলে’- এমন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।’

‘তারেক রহমানের কত কোটি টাকা, আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি লন্ডনে অসুস্থতার অজুহাতে থাকেন। আসলে তিনি সুস্থ। তাকে লন্ডনের শপিংমলে স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে দেখেছি। আমাকে দেখে অসুস্থতার ভান করে। তারেক রহমান তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা করছে। তার স্ত্রী ভালো মানুষ। কষ্টে তার সংসার করছে’- মন্তব্য করেন তিনি।

‘বাকশাল থাকলে ভালো হতো’ উল্লেখ করে এ ভাষাসৈনিক বলেন, ‘বাকশাল করার তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের হত্যা-সন্ত্রাস হতো না। পুঁজিবাদী মাথাচাড়া দিয়ে উঠত না।’

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বাকশালের সময় আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারেনি। কারণ, বাকশাল গঠনের তিন মাসের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। তাই বাকশাল ভালো-মন্দ যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। আমার ধারণা, বাকশাল থাকলে আজকের বাংলাদেশের দুর্নীতি, সন্ত্রাস এত ব্যাপক হতো না। হয়তো এত চাকচিক্যময় রাস্তাঘাটও হতো না।

বর্তমান রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আমার ধারণা, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা না হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে। এখানে মৌলবাদী নেতৃত্ব এসে যাবে। আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত