ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

গণধর্ষণে সহায়তা, সেই আওয়ামী লীগ নেত্রী বহিষ্কার

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৯

গণধর্ষণে সহায়তা, সেই আওয়ামী লীগ নেত্রী বহিষ্কার

গণধর্ষণে সহায়তাসহ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাতে পঞ্চগড় জেলা মহিলা লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত ১৫ জুলাই রাতে আবিদা সুলতানা লাকীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে পঞ্চগড়ের বোদা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করা হয়।

মামলার বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চগড় জেলা শাখা যুব মহিলা লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলবিরোধী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় থাকতেন গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। ইউটিউবের জন্য বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সময় পাঁচ বছর আগে পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাজ্জাদ হোসেন মিলনের সঙ্গে। ঢাকায় মিলন ভিডিও সম্পাদনার কাজ করতেন। নিজেকে প্রথম বাংলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার বলে পরিচয় দিতেন সাজ্জাদ।

এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই সাজ্জাদ নিজ এলাকায় একটি মিউজিক ভিডিও তৈরির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করাতে ওই তরুণীকে গত ১৪ জুলাই সকালে বোদায় নিয়ে আসেন। সাজ্জাদ তাকে নিয়ে বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীর বাড়িতে রাখেন। ওই বাড়িতেই সাজ্জাদসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।

পরদিন ওই তরুণীকে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগরে এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাকে গণধর্ষণ করা হয়। বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে একপর্যায়ে সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেন ওই তরুণী। রাতেই তিনি তিনজনের নামসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে বোদা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন মিলন ও আবিদা সুলতানা লাকীকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত