ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোজা রেখে গ্রীষ্মের খরতাপে দেড়শো টাকার মজুর শামসুদ্দীন

  মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৩

রোজা রেখে গ্রীষ্মের খরতাপে দেড়শো টাকার মজুর শামসুদ্দীন
কাজের ফাঁকে আলাপ দৈনিক ২০০ টাকা হাজিরার মাটি কাটা শ্রমিক শামসুদ্দীন।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপ। ভর দুপুর। ঘড়ির কাঁটা ১টার কাছাকাছি। নির্মম রোদের ভেতর অস্থি চর্মসার এক খর্বাকৃতির বৃদ্ধ একমনে মাটি কাটার কাজ করছেন। দৈনিক হাজিরা ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১৫০ টাকা পান। বাকিটা সঞ্চয় কাটে। এভাবে কাজ করছেন আজ চৌদ্দদিন ধরে।

মঙ্গলবার মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম কাশেম বেরিয়েছেন ৪০ দিনের কর্মসূচী খ্যাত একটি প্রকল্প দেখতে। সেখানে দুইটি প্রকল্প শেষে তৃতীয় প্রকল্প দেখতে গিয়ে নলুয়া ঘাগুটিয়া বিলের ধারে দেখা মেলে কর্মরত এ বৃদ্ধের।

২২/২৪ জনের একটি নারী-পুরুষের দল রাস্তার জন্য মাটি কাটছিলো। সেখানে আলাপ হয় এ বৃদ্ধের সাথে। নাম শামসুদ্দীন। বাড়ি চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের মানারাকান্দী গ্রামে।

বয়স কতো আপনার?

- দুই কম সত্তর (অর্থাৎ বয়স তার ৬৮) জানালেন খর্বাকৃতির এ মাটি কাটা কর্মী।

চৌদ্দদিন ধরে এ কাজ করে চলেছেন তিনি দৈনিক হাজিরা ২০০ টাকা। তবে তার নিজের কাজ নয় এটি জানালেন শামসুদ্দীন।

তার স্ত্রী হেলেনার কাজ। তিনি অসুস্থ বলে শামসুদ্দীন প্রক্সি দিয়ে কাজ করে দিচ্ছেন। জমি-জমা কিছুই নেই তার। বড়ো কষ্টের সংসার।

চন্দনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরন জানান, তার কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠাবান কর্মী শামসুদ্দীন। কাজে ফাঁকি নেই একটুও। রোজা রেখেও নিজে কাজ করেন এবং অন্যদেরও কাজে ফাঁকি দিয়ে হারাম খাওয়া থেকে বিরত রাখেন। ফলে তিনি থাকলে আর কাজ নিয়ে ভাবতে হয় না চেয়ারম্যানকে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী এবং হারাম হালাল জ্ঞানও বেশ টনটনে। অভাব তাকে হারামের কাছে পরাস্ত করতে পারেনি। একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড আছে তার। জানালেন চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত