ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিশু ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে পলায়ন

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৯, ০৮:৫১

শিশু ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে পলায়ন

বরিশাল নগরীর শিশু শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তারকে (১০) ধর্ষণের পরে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফারজানা ওই এলাকার কালাখার বাড়ির নূর খলিফার ভাড়াটিয়া দিন মজুর আলমগীর হোসেনের মেয়ে এবং কাউনিয়া আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি গত ২৪ মে ঘটলেও গণমাধ্যমে আসে রোববার বিকেলে।

ফারজানার মা মরিয়ম বেগম বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ঘটনার দিন সকালে মেয়ে ও শিশু পুত্রকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজে যান। একই সময় শিশুর বাবা আলমগীরও কাজে বের হন। কিছু সময় পরই ফারজানা ঘরে ফিরে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমি (মরিয়ম) ঘরে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পাই।

জানালা থেকে ভেতরে দেখতেই জানালার পাশে একটি চিকন বাশেঁর সাথে মেয়েকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখি। এ সময় ফারজানার সালোয়ারের পেছনে কিছু অংশ ছেড়া ও মুখ থেকে ফ্যানা বের হচ্ছিল।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরিয়ম বাংলাদেশ জার্নালকে আরো জানান, প্রতিবেশী আব্দুস ছালাম আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে তার ধারনা। কেননা ঘটনার সময় একমাত্র তিনিই ওই বাড়িতে ছিলেন। বাকিরা সবাই বাইরে ছিলো।

তাছাড়া প্রতিবেশীর ঘর এতটাই নিকটে যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকলে তার ঘোঙ্গানীর শব্দ পাওয়ার কথা। তাছাড়া ছালামের ঘরের পেছনের অংশ থেকে আমার ঘরে প্রবেশের পথ রয়েছে। যেদিন ফারজানার মরদেহ উদ্ধার করা হয় তখন ছালাম ঘরে থাকা সত্বেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। বরং তিনি প্রতিবেশি নারীদের স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে শিখিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন মরিয়ম। বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি করে প্রতিবেশীরা বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ঘটনার দিন মেয়ের বাবা আলমগীর সবাইকে জানিয়েছিল পছন্দের ঈদের পোশাক কিনে না দেয়ায় ফারজানা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আবার তিনিই হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে পালিয়ে আসেন। তাছাড়া প্রথম দিন আত্মহত্যা বললেও পরবর্তীতে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ তোলেন। প্রতিবেশীদের দাবি পরিবারের মধ্যে থেকেও কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও ধর্ষণ ও হত্যা বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সুরতহালে কোন আলামত মেলেনি।

তাই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আসল রহস্য উদঘাটন হবে। সেখানে হত্যা ও ধর্ষণের আলমত মিললে সেভাবে মামলা দায়ের করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত