ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সরকারের যত নতুন পরিকল্পনা

প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সরকারের যত নতুন পরিকল্পনা

২০২২ সাল থেকে দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হবে। যার মেয়াদ হবে দুই বছর। আগামী বছর থেকে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের একটি স্কুলে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক চালু হবে।

২০১০ সাল থেকে সীমিত আকারে এবং ২০১৩ সাল থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। কিন্তু সরকারিভাবে বাংলাদেশে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস চালু না থাকায় বেসরকারি উদ্যোগে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রসার ঘটছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ক্লাসরুম উপযোগী করে তুলতে সারাদেশে নতুন করে আরো ৩০ হাজার ‘শিশু উপযোগী শ্রেণিকক্ষ’ নির্মাণ করা হবে। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিশুদের বয়স উপযোগী কারিকুলামও প্রণয়ন করা হবে।

প্রাক-প্রাথমিক এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করার জন্য নীতিগত অনুমোদন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারসংক্ষেপে প্রাক-প্রাথমিক দুই বছরের করার যৌক্তিকতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪ হাজার ৭৯৯টি বিদ্যালয়ে শুধু প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষ আছে এবং ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক জন করে সহকারী শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক) কর্মরত আছেন। এছাড়া, আরো ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এক জন করে সহকারী শিক্ষকের (প্রাক-প্রাথমিক) পদ সৃজন করা হয়েছে এবং শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ চলমান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত