ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক ও শিক্ষকদের নিয়ে যা বললেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২৪

প্রাথমিক ও শিক্ষকদের নিয়ে যা বললেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রতীকী ছবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার প্রতিবছর সারাদেশে বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। ঝড়ে পড়া রোধ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে উপবৃত্তি, শিক্ষকসহ বিদ্যালয়সমূহ জাতীয়করণ, এ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্য সর্বত্র প্রশংসিত এবং দৃশ্যমান। গত ১০ বছরে শিক্ষাখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে, ঝরে পড়া কমেছে অনেকাংশেই। বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তি প্রদান, মিড ডে মিলসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের সুফল মিলছে এখন। শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেইজ-২ প্রকল্পের প্রি-ভোকেশনাল ট্রেনিং কার্যক্রমের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১৭ ভাগ কারিগরী দক্ষতা সম্পন্ন। বর্তমান সরকার আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ সংখ্যাকে ২০ ভাগ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৬০ ভাগে উন্নীত করতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সরকারের এ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে রিচিং আউট-অব -স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্প। যুব জনগোষ্ঠিকে দক্ষতা প্রদান, চাকুরির সুযোগ তৈরি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে এ রস্ক প্রকল্প। এ কর্মসূচির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে কারিগরী সহায়তা প্রদান করছে।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক থেকে শুরু করে কারিগরী শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ ও গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে সবার জন্য যথাযথ চাকরি এবং উপযুক্ত কাজ নিশ্চিত করা। রস্ক প্রকল্প ঝরে পড়া ও অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান যারা প্রাথমিক শিক্ষা চক্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি, সেসব শিশুদের জন্য শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ তৈরি করেছে।’

এ প্রকল্প বাংলাদেশের ১৪৮টি উপজেলায় আনন্দ স্কুল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি ১০টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায়, ৮-১৪ বছর বয়সী ঝড়ে পড়া ৫০ হাজার শিক্ষার্থীদেরকে ৩ বছর মেয়াদী এক্সিলারেটেড এডুকেশন মডেলের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।

সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(উন্নয়ন) রতন চন্দ্র পন্ডিত, রস্ক ফেইজ-২ প্রকল্পের পরিচালক মো: মাহবুব হাসান শাহীন এবং সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর -প্রোগ্রাম অপারেশন্স বন্দনা রিসাল। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত