ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছাড়াই ফরম পূরণের নোটিশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৪

পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছাড়াই ফরম পূরণের নোটিশ
ফাইল ছবি

রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত সাত কলেজের অনার্স দ্বিতীয় (১৮-১৯) বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত, অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহনেচ্ছু পরীক্ষার আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ করতে বলা হয়েছে। তবে কলেজগুলোর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সব সাবজেক্ট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: বাহালুল হক স্বাক্ষরিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ মাসের ১৬ তারিখ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে।

এদিকে সরকারি তিতুমীর কলেজে সমাজবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, ইসলামী শিক্ষা ও অর্থনীতি বিভাগে ২১ মার্চ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ফরম পূরণের টাকা জমা দিতে বলা হয়।

তবে একদিন পার না হতেই নোটিশ স্থগিত করে তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইরিন পারভিন বলেন, অনার্স বর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোর্সের সব বিষয় না থাকায় ফরম ফিলাপ স্থগিত করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযন্ত ফর্ম ফিলাপ স্থগিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ফল প্রকাশ এখনও হয়নি। তবুও পরবর্তী সেশনে ভর্তির তাগাদা।

এর আগে গতকাল ‘তিন দিনের নোটিশে বিপাকে শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ জার্নালে প্রকাশিত হয়।

ঢাবির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন আবু রায়হান সোহান নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, অনলাইন ফরম ফিলাপ এর জটিলতা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিরসন করতে হবে, ফরম ফিলাপ এর সময়সূচি ২৩ তারিখের পরিবর্তে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সেশন ও ফরম ফিলাপ ফি কমপক্ষে ৩০% মওকুফ করে নতুন নির্দেশনা জারি করতে হবে।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মালিহা কলি জানান, দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির পর হঠাৎ ফর্ম পূরণের নোটিশ ব্যাপারটা সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিলো। যেখানে ঈদের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেখানে এতো আগে ফর্ম পূরণের ব্যাপারটা অযৌক্তিক মনে করি। মূলত ফর্ম পূরণের অল্প দিনের ব্যবধানে পরীক্ষা নেবার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত যেহেতু ঢাবি কর্তৃক নেয়া হয় সেখানে আমাদের মতামতকে কখনোই সেভাবে বিবেচনায় রাখা হয় না। তারপর নির্বাচনী পরীক্ষার দু’দিন আগে পরীক্ষার নোটিশ দিয়েছে। পর্যাপ্ত সময় এবং প্রস্তুতির কোন সুযোগ নেই এখানে। তারপরেও দিনশেষে ভালোকিছু কাম্য!

মীর সোহান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, করোনার কারণে আমি এখন গ্রামের বাড়িতে আছি। আমার বাড়ি থেকে ঢাকায় পৌঁছতেই প্রায় দু'দিন লেগে যায়। কলেজে সেশন ফির টাকা দিতে হবে, অনলাইনে ফরমপূরণ করতে হবে, কলেজে টাকা জমা দিতে হবে। এর ভেতরেই সাত কলেজের ওয়েবসাইটে আমাদের সবগুলো বিষয় নেই। খুব অনিশ্চয়তার ভেতরে পড়ে গেলাম।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সহকারী অধ্যাপক আইরিন পারভিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই তিতুমীর কলেজে শিক্ষার্থীদেরকে বলেছি, তোমরা অপেক্ষা করো। ফরম পূরণের নোটিশ স্থগিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেছি। দুয়েকদিনের ভেতরেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত