ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল শিক্ষাপদ্ধতি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২১, ১৭:২৬  
আপডেট :
 ২৬ জুন ২০২১, ১৭:৩৪

৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল শিক্ষাপদ্ধতি
মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। ফাইল ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করতে হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিংসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়ার একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি।

শুক্রবার রাতে ঢাকায় অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘কোভিডকালে চাকরির সুযোগ এবং আইটি খাতের চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার মন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, কোভিডকালে ঘরে বসে অফিস আদালত পরিচালনা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও অনলাইনে পড়ালেখা করতে পারছে। হাওর, দ্বীপ ও প্রত্যন্ত চরসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার কাজও প্রায় শেষের দিকে।

দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি করতে পারলে দেশে ও দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের অভাব হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী সাধারণ চাকরির সুযোগ সংকুচিত হলেও দক্ষ আইটি প্রফেশনালদের চাহিদা বেড়েছে। এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা দেয়ার বিকল্প নেই।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এখনই নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইনসহ আগামী দিনের প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা তৈরি করা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীর সবাইকে বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। ন্যূনতম ডিজিটাল দক্ষতা না থাকলে টিকে থাকতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মধ্যে ফাইভ-জি প্রযুক্তি দৃশ্যমান হবে, যা অনেক দেশ চিন্তাও করতে পারেনি। করোনাকালে আমরা শতকরা ৯০ ভাগ মোবাইল টাওয়ার ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। বছরে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।

এ সময় অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন এবং স্যামসন আরঅ্যান্ডডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আসাদ বক্তব্য রাখেন।

একে/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত