ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ১৬:০৯  
আপডেট :
 ০৬ জুলাই ২০২২, ১৭:২৩

ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হই বা অন্য যেকোনো দায়িত্বেই থাকি না কেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তো আসলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটা প্রত্যেকের সাথে সম্পর্কিত। সে বিষয়ে কথা বলার বা মন্তব্য করার সময় সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে কথা বললে ভালো হয়। আর একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে আমাদের চাওয়াটা আরও অনেক বেশি।

বুধবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের বক্তব্যের সমালোচনা করে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি তাকে এ কারণে সাধুবাদ জানাতে চাই, তিনি পরে হলেও তথ্য যাচাই করে দেখেছেন এবং ভুল স্বীকার করে সেটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। তবে সারাদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করে কথা বলা উচিৎ ছিল। সমাজের একটি অংশ, যারা সবসময়ই কিছুটা হলেও ধর্মের দোহাই দিয়ে নানানভাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে রুদ্ধ করার চেষ্টা করে, তারা তার এই বক্তব্যের ভিডিওটি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কাজেই তিনি তার বক্তব্যটা যেখানে বলেছেন, সেখানেই শেষ না। যেখানে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, সেখানেও শেষ না। এটার একটা ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে।

তিনি বলেন, তার এই বক্তব্যের কিছুদিন আগ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চলছিল যে, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধর্ম শিক্ষা সবসময় ছিল, এখনও আছে। না থাকবার কোনো কারণও দেখিনা। আমাদের শিক্ষায় জ্ঞান-দক্ষতা যেমন থাকবে, তার পাশাপাশি সঠিক মনোভাব, মূল্যবোধ, নৈতিকতা থাকবে। সেই জায়গায় ধর্মশিক্ষা একটি আবশ্যকিয় বিষয়। কাজেই ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, আমরা বাদ দেইওনি।

দীপু মনি বলেন, ধর্মের যে মূল মর্মকথা তা যেন শিক্ষার্থীরা অনুধাবন করতে পারে, নিজের জীবনে চর্চা করতে পারে, নতুন কারিকুলামে সেইভাবে ধর্ম শিক্ষার বইগুলো তৈরি করা হয়েছে। কাজেই আজকে যারা ধর্মশিক্ষা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে ধোয়া তুলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ধর্মকে রক্ষা করা নয়, ধর্মের পক্ষে থাকা নয়। বরং ধর্মকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করা। দেশের ধর্মভীরু সাধারণ মানুষকে অন্যায়ভাবে উসকে দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করা। তাই দেশের সকল সাধারণ মানুষকে আমি আহ্বান জানাই, যারা ধর্মের নামে অপপ্রচার চালায়, মিথ্যাচার করে, তাদের সমস্ত অপপ্রচার আপনারা উপেক্ষা করুন।

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত