ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইবির হলে বখশিশের নামে বাড়তি টাকা আদায়

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৩

ইবির হলে বখশিশের নামে বাড়তি টাকা আদায়
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা নবীণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জিয়াউর রহমান হলের সহকারী রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ রেজিস্ট্রারের নাম শাহ মিজানুর রহমান।

রোববার বেশ কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত একশত টাকা করে নেয়ার অভিযোগ করে। এ ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তকে রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৭ম মেধাতালিকায় বিষয় প্রাপ্তদের ২৯ জানুয়ারী থেকে পহেলা ফেব্রয়ারীর মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তির আহ্বান করা হয়। ভর্তির জন্য হল ফি প্রদানপূর্বক প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি একশত টাকা আদায় করেন জিয়াউর রহমান হলের সহকারী রেজিস্ট্রার শাহ মিজানুর রহমান। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ ও নানাভাবে দেখে নেয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হল অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও হলের আবাসিক শিক্ষকরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এদিকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আবারো হল অফিসে তালা লাগালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আবাসিক শিক্ষকরা।

ভর্তি হতে আসা রাকিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি হলের প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে আসলে আমার কাছে অতিরিক্ত একশত টাকা চাওয়া হয়। আমি কিছু না বুঝেই টাকা দিয়ে দেই। পরে হলের বড় ভাইদের মাধ্যমে বুঝতে পারি এ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে। আমার মতো আরো অনেক ভর্তিচ্ছু এ ঘটনার শিকার হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান একজনের কাছ থেকে একশত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন। এসময় তিনি বলেন, হলের কর্মচারী শোভন বিনা বেতনে এখানে কাজ করে। স্বাক্ষর নিতে শিক্ষার্থীদের ফাইল নিয়ে সে প্রভোস্টের কাছে যাতায়াত করছিলো। তাই তাকে কিছু বখশিশ দিতে বলেছিলাম।

এদিকে শোভনের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি অর্ধেক টাকা আমাকে দেন আর বাকি টাকা তিনি নেন।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, চার-পাঁচ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের কথা শুনেছি। এটি অন্যায় হয়েছে। আগামীকাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত