ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আনোয়ার খান হাসপাতালে আলোচনা সভা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭  
আপডেট :
 ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৪

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আনোয়ার খান হাসপাতালে আলোচনা সভা
রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম। ছবি: প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রাম এবং শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করেন আলোচকরা।

রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ আলোচনা সভা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শামীমা নাসরিনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এখলাছুর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. তানজিউর হক, সাবেক উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ।

শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশুরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. গুলে তাজকিয়া। কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।

অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম বলেন, স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। তিনি প্রবলভাবে পরোপকারী ছিলেন। যেখানে অন্যায় কিছু দেখতেন, সেখানে দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তার প্রথম রাজনীতি শুরু হয় পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাষ্ট্র ভাষার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বের গুণেই দেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য যে, যুদ্ধের কিছুকাল পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন, তিনি আমাদের সবার নেতা। তাঁকে যথাযথ সম্মান দিয়েই আমরা পথ চলব।

সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এখলাছুর রহমান বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি এক জিনিস না। খাদ্য হতে হবে সুষম খাদ্য। জন্ম থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। তাহলে এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও নিউট্রিশন নিশ্চিত হবে।

আলোচনা সভায় অতিথিরা

উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. তানজিউর হক বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চে একটা আগুনের ফুলকির জন্ম হয়েছিলো। এই আগুনের ফুলকি একাত্তরে বাংলার প্রাণে আগুনের ছোঁয়া লাগিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অনেক স্নেহ করতেন। শিশুদের সঙ্গে খেলতেন, গল্প করতেন। প্রচণ্ড ভালোবাসতেন শিশুদের।

তিনি বলেন, শিশুদের মস্তিষ্ক গঠন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের সুষম খাবার দিতে হবে। শিশুদের খাবারে থাকবে খিঁচুড়ি। খিঁচুড়ির সঙ্গে ডাল, ডিম দিতে হবে। ২ বছর পর্যন্ত শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বুকের দুধের বাইরে অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না।

সাবেক উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে শিশুরা। তাদের স্বাস্থ্য ও মন-মানসিকতা যাতে সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যাতে মানসিকভাবে হেলদি (স্বাস্থ্যবান) হয়, সেই দিকে আমাদের যাবতীয় খেয়াল রাখতে হবে।

নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার অধিকার বঞ্চিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত