ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইবি শিক্ষকের আপত্তিকর লিফলেট, তদন্তে কমিটি

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪২  
আপডেট :
 ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৩

ইবি শিক্ষকের আপত্তিকর লিফলেট, তদন্তে কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের (মিঠুন মুস্তাফিজ) আপত্তিকর ছবি সম্বলিত লিফলেট ক্যাম্পাসের সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে কে বা কারা লিফলেটটি ছড়িয়েছে তা এখনো শনাক্ত হয়নি। বিষয়টির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, শিক্ষক সমিতির সুপারিশ সংবলিত একটি আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ভুক্তভোগিী শিক্ষক একটি মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন এবং আবাসিক হল এলাকায় একটি আপত্তিকর লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। লিফলেগে লেখা- ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজের ছাত্রীর সাথে কুকীর্তি’।

এছাড়া ওই লিফলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের ছবিও দেখা যায়। তার ছবির নিচে লেখা- ‘যোগ্য গুরুর যোগ্য শিষ্য মিঠুন মোস্তাফিজ’। লিফলেটটি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। এছাড়া লিফলেটটি নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একইসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায়।

এদিকে সামাজিকভাবে মান ক্ষুন্ন হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে শিক্ষক সমিতির কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ওই শিক্ষক। ১৪ ডিসেম্বর ওই আপত্তিকর ছবি দিয়ে একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলেও মিঠুন মোস্তাফিজ আবেদনে উল্লেখ করেন। আবেদনটি আমলে নিয়ে প্রশাসনকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে শিক্ষক সমিতির নেতারা।

বুধবার ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে সহকারী প্রক্টর শাহেদ আহমেদ সদস্য এবং আইসিটি সেলের ইনস্ট্রাক্টর নাইম মোর্শেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার তথ্য ও প্রযুক্তি সংশোধনী আইন ২০১৩ এর ৫৭/২ ধারায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটি মিথ্যা, বানোয়াট কুরুচিপূর্ণ ছবি প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। এতে আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি বিষয়টি শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত