ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

  রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫০

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম। রোববার বেলা ১১টার থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

তাদের দাবিগুলো হলো- ১.সরকারি সকল চাকুরিতে ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বিশেষ কমিশন গঠন করে তার শতভাগ বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ, ২.রাজাকারসহ স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরিচ্যুত ও নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা, ৩.জাতির পিতা ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অবমাননাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, ৪.বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ নিশ্চিত, ৫.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচর্যের বাসভবনে হামলাসহ সকল প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের যথাযথ ও দ্রুত আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ, ৬.সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিকহারে বৃদ্ধি।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক অমর শুভ রায় বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আমাদের কারো বাবা, কারো চাচা কিংবা দাদা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। আমরা তাদের বংশধর। অথচ বর্তমানে আমরাই উপেক্ষিত হচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। কোটা বহাল না করলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।’

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে রাজশাহীর হামিদপুর-নওদাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ চৌধুরী সমাবেশে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছি, রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ আমাদের সন্তান-সন্ততিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যে উপহার মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছে সেই উপহার ফিরিয়ে নেওয়া অধিকার কারও নাই। প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের অধিকার রক্ষা করুন।’

এদিকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে যানচলাচল বন্ধ থাকায় সড়কের দুই পাশে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। কর্মসূচি চলাকালে সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া বাকি সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় মোটর সাইকেল ও সাইকেল চালকদের নেমে হেঁটে পার হতে দেখা যায়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত