ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

করোনা ও শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়ে জবির বাজেট

  জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২০, ২২:৩৭

করোনা ও শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়ে জবির বাজেট

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আগামী বছরের বাজেট। ফলে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, ক্রয় করা হবে নতুন ১০টি বাস, প্রায় ৫০০০ হাজার শিক্ষার্থীকে আনা হবে মেধা ও অবৈতনিক বৃত্তির আওতায় ও স্থাপন করা হবে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাব।

শনিবার প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোন আলাপে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবির অনেকটাই বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করছেন উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, আমরা আমাদের বাজেট মূলত করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে সাজাচ্ছি। আমরা গতবছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছিলাম এবার সেটা কমপক্ষে ৫ গুণ করবো। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস খোলার পর যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্যাম্পাসে আসতে পারে সেজন্য দশটি নতুন বাস পরিবহন পুলে যুক্ত করা হবে।

তিনি আরো যুক্ত করেন, মেডিকেলে আরো ২ জন ডাক্তার নিয়োগ করা হয়েছে, ক্যাম্পাস খুললে তারা যোগ দিবেন। মেডিকেলে ঔষধের বরাদ্ধ ১০ গুণ বাড়াবো। এছাড়াও মেডিকেলে ইসিজি মেশিন ও রক্তপরীক্ষার জন্য প্যাথলজিকাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। আর আমরা এর আগেই বলেছি কোভিড-১৯ সহ এ ধরণের প্যান্ডামিক শনাক্তকরণে ল্যাব স্থাপন করা হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিকৃত ৪ দফার কতটা বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বলে না আমরা এগুলো আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম, তবে অনেকটাই বাস্তবায়ন হবে। ছাত্রী হল ক্যাম্পাস খোলার পরই খুলে দেয়া হবে। আর বাড়িভাড়ার বিষয়ে আমরা সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি সবার সাথে আলোচনা করে সমাধান সুপারিশ করবেন। তারপর যেখানে যেখানে কথা বলতে হয় আমরা বলবো। আর সেমিস্টার ফি মওকুফের বিষয়টাত আমরা চাইলেই হয়না, আমরা বাজেট চাইতে হবে সরকারের কাছে। আর শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যাটাতো আমরা কমপক্ষে ৫ গুণ করছি।

জবির ৭ দফা আন্দোলনের সমন্বায়ক মো. রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, করোনা সংকটের প্রথম থেকেই আমরা যারা শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া সমস্যা নিয়ে কাজ করছিলাম তাদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৪ দফা প্রস্তাব রাখা হয়েছিলো। আমরা এবিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলে আসছিলাম। আমরা আশা করছি প্রশাসন সময়ক্ষেপণ না করে পদক্ষেপ নিবে, বিশেষ করে বৃত্তির বিষয়টা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেসভাড়া সমস্যার সমাধানের জন্য ৪ দফা প্রস্তাব দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এবং ৪ দফা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দাবি জানিয়ে আসছিলো শিক্ষার্থীরা। ৪ দফার মধ্যে রয়েছে, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। সরকারের দায়িত্বশীলদের সাথে সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত মেস ভাড়া কমপক্ষে ৫০% মওকুফের ব্যবস্থা নিতে হবে, সেমিস্টার ফিসহ অন্যান্য ফি মওকুফ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে, ক্যাম্পাস খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই ছাত্রীহল চালু করতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত