ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ১৬ দিনের কর্মসূচি

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৪:২৫  
আপডেট :
 ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৩৮

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ১৬ দিনের কর্মসূচি
ছবি: নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন

নারী সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে নারীরা। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করে তারা। ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

সোমবার ওই কর্মসূচীর ষষ্ঠদিন চলছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এটি পালন করছেন প্রতিবাদী নারীরা। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে নারী সহিসংতা বন্ধে বেশকিছু দাবি পেশ করা হয়

দাবিগুলো হলো-

১. নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিনিয়োগে করতে হবে।

২. জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সম্পদ ও সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে, মেয়ে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্যমূলক আইনের পরিবর্তন করতে হবে। আইনের সঠিক, নিরপেক্ষ ও সময়ানুগ প্রয়োগে নিশ্চিত করতে হবে।

৪. মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলকে মুখ্য বিবেচনা না করে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন বা এ ধরনের আমলযোগ্য অপরাধে ঘটনায় কোনাে বৈষম্য, বিলম্ব ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে থানায় অভিযোগে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. যৌতুক আদান-প্রদানকারীকে এবং বাল্যবিবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে এবং তাদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

৮. আইনের সঠিক, নিরপেক্ষ ও সময়ানুসারে প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে সরকারের দায়বদ্ধতা তৈরি করতে হবে।

৯. বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের সেবাদানকারী সদস্যদের জেন্ডার সংবেদনশীল করে গড়ে তুলতে হবে এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

১০. নারী নির্যাতনকারীকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে।

১১. প্রতিটি থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু করতে হবে, যা নারী পুলিশ দ্বারা পরিচালিত হবে।

১২. ওয়াজ মাহফিলসহ সব প্রকার ধর্মীয় সভায় নারীবিরোধী বক্তব্য আইন করে বন্ধ করতে হবে।

১৩. যৌন সহিংসতা বন্ধে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষার সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীকে ঘটনার জন্য দায়ী করা মানসিকতা পরিহার করতে হবে।

১৫. ধর্ষণের শিকার নারীর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকে তার পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি, চিকিৎসাসহ ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করতে হবে।

১৬. যে কোনাে ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

১৭. প্রচলিত আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

১৮. সর্বজনীন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে।

উত্তরাধিকারে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে নারীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও বৈষম্য সৃষ্টি করছে এমন সকল দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস, আচরণ পরিবর্তনে জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনসচেতনতা ও জন আন্দোলন সৃষ্টি ও পুরুষদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমি বলেন, ‌‘দেশের রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই বর্তমানে নারীর সক্রিয় বিচরণ লক্ষণীয়। বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীরা পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাগত দায়িত্ব পালনসহ রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রত্যাশিত নারী-পুরুষ, সমতায় পৌঁছাতে তাদের আরাে অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। দুঃখজনকভাবে নারীর সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ এখনো কণ্টকাটা | কারণ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাজে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতার মাত্রা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত