ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইবিতে ‘তড়িঘড়ি করে’ এমফিল ও পিএইচডির ভর্তি পরীক্ষা

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:০০

ইবিতে ‘তড়িঘড়ি করে’ এমফিল ও পিএইচডির ভর্তি পরীক্ষা
ফাইল ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে। তবে পূর্বের সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শেষ না করেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের দাবি, যে অর্ডিন্যান্সের আলোকে বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল সে আলোকে পরীক্ষা না নিয়ে নতুন পদ্ধতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে নতুন সেশনের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের মনঃপুত শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কাজ করা হচ্ছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি প্রোগামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। তবে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি বলে জানা গেছে। অর্ডিন্যান্সের অনুযায়ী পূর্বের সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলে নতুন ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।

তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে এক বছর আগে। সিন্ডিকেট না হওয়ার কারণে এতদিনেও তাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পূর্বের সেশনের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না করেই তড়িঘড়ি করে নতুন সেশনের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটি ২৫ নম্বর ও বিভাগ ২৫ নম্বর প্রশ্ন করবে এবং নিজ নিজ বিভাগে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। খাতা বিভাগ মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রশাসনে পাঠাবে। অথচ অর্ডিন্যাস অনুসারে, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০০ নম্বরের প্রশ্ন প্রণয়ন করে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষাগ্রহণ, উত্তরপত্র মল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ করার কথা।

জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়নি। একাডেমিক কমিটির সভায় আলোচনা ছাড়াই ভিসি এককভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। এ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা এমফিল ও পিএইচডি অধ্যাদেশ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সভায় বিষয়টি নিয়ে কোনপ্রকার আলোচনা হয়নি। কিন্তু ভিসি বিশেষ ক্ষমতাবলে সভার ১৬ নম্বর সিদ্ধান্তে এমফিল ও পিএইডি প্রোগামের ভর্তি পরীক্ষা স্ব-স্ব বিভাগে নেয়া হবে বলে নির্দেশনা পাঠানো হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমফিল ও পিএইচডি অধ্যাদেশ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের নীতিমালাকে উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।

ইইই বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, অর্ডিনান্সের এত বড় ব্যত্যয় ভিসি মহোদয়ের এককভাবে নেয়া ঠিক হয়নি। এটি একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয়। আমি লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছি। হঠাৎ এত তড়িঘড়ির কারণ বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, ‘এমফিল ও পিএইচডি অধ্যাদেশ অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর এভাবে পরীক্ষা নেয়ার এখতিয়ার রাখে বলে আমরা মনে করি না। এটা একাডেমিক বিষয়। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘পূর্বের ভর্তি কাযক্রম শেষ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত