রেকর্ড: নিশো-মেহ্জাবীনের হ্যাট্রিক

বাংলা নাটকের ইতিহাসে আবারও নতুন রেকর্ডের মাইলফলক। নিন্দুকের নিন্দাকে সফলতায় বদলে দিয়ে প্রথম বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী হিসেবে মাইলফলক অর্জন করলেন ছোট পর্দার দুই বড় তারকা আফরান নিশো ও মেহ্জাবীন চৌধুরী। প্রথম অভিনেতা হিসেবে নিশোর ৩টি নাটক ২ কোটি ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অন্যদিকে, প্রথম কোনো অভিনেত্রী হিসেবে একই মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেহ্জাবীন।

আফরান নিশোর ২ কোটি ভিউ’স পাওয়া নাটক ৩টি হলো ‘বুকের বাঁ পাশে’ (২৪+ মিলিয়ন), ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ (২২+ মিলিয়ন), ‘টম এন্ড জেরী’ (২০+ মিলিয়ন)। অন্যদিকে, মেহ্জাবীন চৌধুরীর ২ কোটি ভিউ’স পাওয়া নাটক ৩টি হলো ‘বড় ছেলে’ (৩২.৬+ মিলিয়ন), ‘বুকের বাঁ পাশে’ (২৪+ মিলিয়ন), ‘টম এন্ড জেরী’ (২০+ মিলিয়ন)।

তামান্না ভাটিয়া ও সঞ্জয় দত্তকে সাইবার সেলে তলব

প্রথম জুটি হিসেবেও নিশো-মেহ্জাবীন ২ কোটি ভিউসের ২টি নাটক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আফরান নিশো বলেন, ‘এই ধরণের সাফল্য তো অবশ্যই ভালো লাগে। দর্শকরা কাজগুলোকে পছন্দ করে, ভালোবাসা প্রকাশ করে; যার কারণে আমাদের অর্জনের পাল্লায় এগুলো যোগ হয়। এতে করে নিজের মধ্যে তখন কাজের স্পৃহাটা আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। সত্যি বলতে, এই সাফল্যগুলো আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে।

একজন ফ্রন্টলাইনার, একজন নায়ক, কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে আসা মানুষ আমি। সেই জায়গা থেকে যখন আমার ৩টি নাটক এভাবে সবার থেকে এগিয়ে যায় তখন স্বভাবতই এটা আমাকে অনেক আনন্দিত করে। কাজের প্রতি নতুন একটা স্পৃহা তৈরি করে। এ কৃতিত্ব আসলে প্রতিটা টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলের। এ কৃতিত্ব দর্শকদের। তারা এতোটা সাপোর্ট ও ভালোবাসা না দিলে হয়তো আমি আজকে এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। এরজন্য আমার সকল ভক্ত অনুরাগী ও দর্শকদের জন্য মন থেকে ভালোবাসা জানাতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সহকর্মী ও পরিচালকদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ডাটাগুলো পাই দর্শকদের কাছ থেকেই, কাজগুলো কত ভিউস হলো। আমি সবসময়ই বলি, ভিউস মানে হচ্ছে একটা কাজ কতজন মানুষ দেখলো বা জনপ্রিয়তা পেলো। এই ভিউসের সাথে কিন্তু মানের কোনো সম্পর্ক নেই। যেই কাজগুলো বেশি জনপ্রিয়তা পায়, সেগুলোরই ভিউ বেশি হয়। একটা কাজের মানদণ্ড কখনোই ভিউ দিয়ে কাউন্ট করা যায় না। এটাও দেখা যায় যে, অনেক ভালো কাজেরই ভিউ হয়না। মানুষের নাটক দেখা নির্ভর করে তাদের মুডের ওপর। কখনো হাসির নাটক ভালো লাগে, কখনো সিরিয়াস কাজ পছন্দ করে দেখতে। এটাও কিন্তু একটা ডাটা। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি ভিউ এবং রিভিউ দুইটাই দেখি। একজন শিল্পীর গুণগত মান এবং জনপ্রিয়তা দুটোই নির্ভর করে ভিউ এবং রিভিউয়ের উপর। এটা একে অপরের পরিপূরক, একটা আরেকটিকে প্লাস করে। একজন শিল্পীকে গুণগত মান বজায় রেখেও কাজ করতে হয়, আবার ভিউয়ের জন্যও; আবার গণমানুষের জন্যেও কিছু কাজ করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে কাজ করাটাই কিন্তু একজন শিল্পীর কর্তব্য।’

অন্যদিকে মেহ্জাবীন চৌধুরী বলেন, ‘এটা যদি দর্শক রেকর্ড মনে করে তাহলে এটা রেকর্ড, আর না মনে করলে নয়। আমি আসলে রেকর্ড নিয়ে কখনোই চিন্তিত নই, আমি শুধু আমার কাজটা নিয়ে ভাবি সবসময়। তবে যখন এই বিষয়গুলো দেখি তখন একটা ভালো লাগা কাজ করে। দর্শকরা কাজগুলো পছন্দ করছেন, দেখছেন। একটা কাজ করার পর যদি সেটা দর্শক পর্যন্ত না পৌঁছায় তাহলে সেটা তো সফল না। কাজগুলো অবশ্যই দর্শক পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। আর এটাকে যদি রেকর্ড হিসেবেই দেখি, তার মানে দর্শক কাজগুলোকে পছন্দ করেছেন। অর্থাৎ কাজগুলো সফল। দিনশেষে আমরা যারা শিল্পী তারা কিন্তু দর্শকদের জন্যই কাজ করি।’

‘আমি আমার দর্শকদের অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা কাজগুলো দেখেছেন, নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। আমাদের যা অর্জন তা কিন্তু দর্শকদের কারণেই। এর জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবার দোয়া চাই, যেন আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে পারি।’- যোগ করেন অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন