ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পথেঘাটে ‘মেয়ে পটানোর’ কায়দা কানুন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪০  
আপডেট :
 ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪৮

পথেঘাটে ‘মেয়ে পটানোর’ কায়দা কানুন

একজন রিপোর্টার একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন যেখানে পথেঘাটে মেয়েদের আকর্ষণ করার কায়দা-কানুন শেখানো হয়। লন্ডনের বিখ্যাত স্যাভয় হোটেলের সামনে এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। এডি হিচেনস এই কোর্সের হেড কোচ, ক্লাস শুরু আগে আস্তে আস্তে হেঁটে তিনি মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান, কোর্সের সবাই বুটক্যাম্পে পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হন। খবর বিবিসি বাংলার।

হিচেনস ক্লাসে এসে বলেন, আমি একজন হেটেরোসেক্সুয়াল, মানে মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি। আমাকে একজন আসক্ত মানুষ বলতে পারেন। ২০০৫ সাল থেকে আমি এই ‘গেমে’ আছি। গেম হচ্ছে কয়েক কোটি পাউন্ড অর্থের ব্যবসা, যেখানে পুরুষেরা অন্য পুরুষদের শেখান কিভাবে নারীদের আকর্ষণ করতে হবে, যাকে অনেকেই অন্যভাবে বলেন ‘মেয়ে পটানো’।

মেয়ে পটানো নতুন কোনো ব্যাপার নয়, কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে ‘সিডাকশন কোচ’ অর্থাৎ যারা বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী আকর্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন, তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে কত নারীকে আকর্ষণ করা যায় এবং কত দ্রুত তা করা যায় সেটা শেখানো।

বিশ্বজুড়ে এই ব্যবসার বাজার বাড়ছে। অনেক অনলাইন কোর্স আছে। ইউটিউবে শত শত ভিডিও পাওয়া যায়, যেগুলোর রয়েছে হাজারো সাবস্ক্রাইবার।

এই বুটক্যাম্পে পুরুষেরা কেবল পুরুষদেরই সঙ্গী আকর্ষণের কায়দা-কানুন শেখাবেন। মেয়েরা হয়ত জানেনও না যে তারা কীভাবে এ ধরণের ব্যবসার অংশ হয়ে উঠেছেন।

এ কোর্সের শিক্ষা হাতেকলমে প্রয়োগ করতে গিয়ে যা করেন একজন পুরুষ, অনেক সময়ই সেটা নারীকে উত্ত্যক্ত করার সামিল। প্রায়শই নারীর অনুমতি ছাড়াই তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। এই দুইটিই ফৌজদারি অপরাধ। সেই ক্লাসে নানা দেশের নানা পেশার পুরুষেরা এসেছেন।

যেমন আমস্টারডাম থেকে এসেছেন একজন শেফ বা রাঁধুনী, মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ব্রাজিলের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডাবলিনের কম্পিউটার প্রোগামার এবং ম্যানচেস্টার থেকে একজন চিকিৎসক।

রাস্তাঘাটে আকর্ষণ

স্ট্রিট অ্যাট্রাকশন বা রাস্তাঘাটে কীভাবে মেয়েদের আকর্ষণ করা যাবে এমন একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন আদনান আহমেদ। তিনি এখন কারাগারে। রাস্তাঘাটে মেয়েদের প্রতি হুমকি এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার করার দায়ে এখন বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন আহমেদ।

অথচ মাত্র এক বছর আগে আহমেদ মেয়ে পটানোতে নিজের দক্ষতা নিয়ে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দিয়েছিলেন অনলাইনে। আহমেদ রাস্তাঘাটে মেয়েদের সঙ্গে কথাবার্তার চেষ্টা করতে করতে গোপনে তাদের ভিডিও করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একজন সহপাঠী জানিয়েছিলেন, আহমেদ এরকম ২৫০টির বেশি ভিডিও আপলোড করেছিলেন।

আহমেদের এসব ভিডিওর মধ্যে মেয়েদের পটানো এবং তাদের সঙ্গে রাত্রিযাপনের ঘটনা দেখানো হয়েছে। কখনো কখনো অন্তরঙ্গতার অডিও ক্লিপও শেয়ার করতেন আহমেদ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত