ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিজ্ঞাপন করে হুমকির মুখে সংসদ সদস্য পদ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:৪৭

বিজ্ঞাপন করে হুমকির মুখে সংসদ সদস্য পদ

বিজ্ঞাপন করে কেউ এমন বিপাকে পড়ে! আইনের মারপ্যাঁচে সংসদ সদস্য পদ পড়েছে হুমকির মুখে। একটি বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করে এমনই বিপাকে পড়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরের তৃণমূল এমপি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।

ওই বিজ্ঞাপনের কারণে তার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে শুরু হয়েছে টানাহ্যাঁচড়া। ‘অফিস অব প্রফিট’ আইন লঙ্ঘন হওয়ায় তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে কিনা তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছে, যে ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই ব্র্যান্ডের নারকেল তেলের বিজ্ঞাপন মিমি চক্রবর্তী অনেক দিন ধরেই করেন। কিন্তু ওই সংস্থা সম্প্রতি যে নতুন বিজ্ঞাপন বাজারে এনেছে, তাতে মিমি চক্রবর্তী নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় তুলে ধরেছেন। এতে সংসদ সদস্যদের আদর্শ আচরণ বিধিতে যে ‘স্বার্থের সংঘাত’ সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে, মিমি চক্রবর্তী তা সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করেছেন।

বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায়, একটি আয়নার সামনে বসে চুল বাঁধছেন মিমি। আর পেছন থেকে হেঁটে আসছেন বিদ্যা। মিমিকে তিনি প্রশ্ন করছেন, ‘এখনও চুল নিয়ে পড়ে?’ জবাবে মিমি বলছেন, ‘আমি এখন জনপ্রতিনিধি। তাই তার যোগ্য হেয়ারস্টাইল।’

কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ সমালোচনা করে বলেছেন, কোনো সংসদ সদস্য এটা করতে পারেন না। ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে কেউ এইভাবে পয়সা রোজগার করতে পারেন না। তবে ‘অফিস অব প্রফিট’ আইনের আওতায় এই বিষয়টা পড়ছে না বলে তার মত। সংসদ সদস্য বা বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কোনো পদ নিয়ে কেউ যদি আর্থিক ভাবে লাভবান হন, তা হলে সেই পদ ‘অফিস অব প্রফিট’-এর আওতায় পড়বে— ব্যাখ্যা অরুণাভর। মিমি চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে তেমন ঘটেনি।

কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টেরই আরেক আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-র ৮(এ) ধারা অনুযায়ী দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপের জন্য সংসদ সদস্য বা বিধায়কের পদ খারিজ করা যায়।

সিপিএমের সাবেক সংসদ সদস্য ও এথিক্স কমিটির সদস্য নীলোৎপল বসু বলেন, এইভাবে বিজ্ঞাপন দেয়া যায় না। এটা স্বার্থের সংঘাত সংক্রান্ত নিয়মে আটকে যায়।

তবে এসব নিয়ম জানেন না জানিয়ে মিমি বলেন, আমি এই সব নিয়ম-কানুন একদমই জানতাম না। আমাকে যা পড়তে বলা হয়েছিল, পড়ে দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন সংস্থার সাথে কথা বলে বিতর্কিত অংশ বাদ দিবেন জানিয়ে মিমি বলেন, আমি তাদের বলব, ওই অংশগুলো এডিট করে বাদ দিতে।

বাংতলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত