ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

আরো দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি

আরো দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস

করোনাভাইরাস নিয়ে আরও একবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির প্রধান এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি আরো ‘বেগবান’ হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরের ১১ দিনে আরো এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। আর পরের এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র চার দিন।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘এখনও এর গতিপথ পাল্টে’ দেয়া সম্ভব।

তিনি দেশগুলোকে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা কী পদক্ষেপ নেই সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে একটা ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় না। প্রতিরক্ষার সাথে সাথে আক্রমণও করতে হবে।’

ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘কিক আউট করোনাভাইরাস’ নামক এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিফার প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফানটিনোর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ড. টেড্রস বলেন, মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকতে বলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা জিততে সাহায্য করবে না।’

তার ভাষায়, ‘জয় পেতে হলে আমাদের আগ্রাসী আর সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও যত্নে রাখতে হবে। আর তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।’

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ড. টেড্রস। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বা পিপিই পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার কারণেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা তখনই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন যখন তারা নিজেরা নিরাপদে থাকতে পারবেন। আমরা যদি অন্য সবকিছুই ঠিকঠাক করি কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করি, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। কারণ যে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সেবা দিতেন তারাই অসুস্থ।’

তিনি বলেন, পিপিই-কে অগ্রাধিকার দেয়া এবং এর গুরুত্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র অংশীদারদের সাথে মিলে কাজ করছে। একই সাথে বিশ্বজুড়ে এর সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলতি সপ্তাহে জি-২০ জোটভুক্ত নেতাদের তিনি আহ্বান জানাবেন তারা যাতে সুরক্ষা সরঞ্জামাদির উৎপাদন বাড়ায় এবং সেগুলো রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। সেই সাথে এসব সরঞ্জামের বণ্টন যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত