ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক তরুণী থেকে করোনা সংক্রমিত ৫ জন

এক তরুণী থেকে করোনা সংক্রমিত ৫ জন
প্রতীকী ছবি

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতি করোনা। প্রচণ্ড ছোঁয়াচে এই ভাইরাস একজন আক্রান্তের থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বহুজনের দেহে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার তেহট্টে তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক তরুণীর সংস্পর্শে এসে শিশুসহ মোট পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর করোনা-সন্দেহভাজনের তালিকায় চলে এসেছিলেন আরও ১৩ জন।

স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, লন্ডনে ওই তরুণীসহ পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট শুক্রবার পজ়িটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ২৭ বছরের তরুণী ছাড়াও তার ন’মাস ও ছ’বছরের দু’টি মেয়ে ছাড়াও ৪৫ বছরের এক নারী ও তার ১১ বছরের ছেলে আছেন। তারা ওই তরুণীর আত্মীয়। আক্রান্তদের বাড়ি ভারতের উত্তরখণ্ড রাজ্যে। তাদের বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে আনা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের একাংশ জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে তরুণীর সঙ্গে একসঙ্গে এতজন করোনায় আক্রান্ত হতেন না।

তরুণীর এক ভাই গত ১৬ মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লিতে ফেরেন। তাকে নিতে তরুণী ছাড়াও পরিবারের আরও কয়েক জন দিল্লি যান। সেখানে পারিবারিকভাবে সবার দেখা সাক্ষাৎ হয়। পরে তার বিলেতফেরত ভাইয়ের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তাকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুদিনের মধ্যে ২২ বছরের ওই যুবকের ভাইয়ের শরীরেও সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয়। তাকে রাখা হয় লোহিয়া হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে।

এরপর চিকিৎসকেরা ওই তরুণীকে ২৮ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু তরুণী চিকিৎসকদের নির্দেশ মানেননি। উল্টো তার পাঁচ সঙ্গীকে নিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসে দু’দিন জার্নি করে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছান। পরে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে পৌঁছান বেথুয়াডহরিতে। সেখান থেকে অটোয় তেহট্টের বার্নিয়া গ্রামের বাড়িতে ফেরেন ওই ছয়জন। আর তরুণীর এক সঙ্গী ফেরেন বিমানে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ না-মেনে তরুণী যে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন, দিল্লির কাছে সেই খবর ছিল না। পরে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরদারির মাধ্যমে ওই তরুণীর কথা জানা যায়। পরে রাজ্য সরকার বিষয়টি দিল্লিকে জানায়।

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'তরুণীর পরিবার যে রাজ্যে ফিরেছে, দিল্লির সেটা আমাদের জানানো উচিত ছিল। কিন্তু ওরা কোনও তথ্য দেয়নি। আমাদের নজরদার দল যেভাবে ওই তরুণী এবং তার স্বজনদের চিহ্নিত করেছে, তা প্রশংসনীয়। এ পর্যন্ত রাজ্যে যে কয়জন আক্রান্ত হয়েছেন, ভিন্নদেশ বা ভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই। স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ এখনও ছড়ায়নি। এই যুদ্ধে সাধারণের সহযোগিতা থাকলে আরও সন্তোষজনক ফল মিলবে।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত