ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

মার্কিন নির্বাচন

কে আসছেন কমলা হ্যারিস নাকি মাইক পেন্স?

কে আসছেন কমলা হ্যারিস নাকি মাইক পেন্স?

ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর কমালা হ্যারিসই হচ্ছেন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের রানিং মেট - এটা ঘোষিত হবার পর তাকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বেই। নভেম্বরের নির্বাচনে যদি জো বাইডেন জয়ী হন - তাহলে কমালা হ্যারিসই হবেন প্রথম আমেরিকান নারী, কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয়-বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে এ বছর মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়ছেন দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য, আর তার রানিং মেট হচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। বলা হয়, গত চার বছরে হোয়াইট হাউসে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন মাইক পেন্স। খবর বিবিসির।

কমলা হ্যারিস নিজেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম দিকের বিতর্কগুলোয় ভালো করার পর তিনি সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের প্রথম কাতারেও চলে এসেছিলেন। তিনি সুপরিচিত হয়ে উঠেছিলেন বিপক্ষের প্রতি কড়া কড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবার জন্য। আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের ব্যাপারে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের টিভি বিতর্কে জো বাইডেনকেও তিনি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে ছাড়েন নি।

কিন্তু সেই বাইডেনেরই রানিংমেট হিসেবে আবির্ভূত হবার পর ৫৫ বছর বয়স্ক এই সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল এখন আবার ফিরে এসেছেন মনোযোগের কেন্দ্রে। কমালা হ্যারিস আইনের ডিগ্রি নেন হেস্টিংসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে, এবং কাজ শুরু করেন আইনজীবী হিসেবে। পরে তিনি প্রথম নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার এ্যাটর্নি জেনারেল হন এবং দু'বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালে বিয়ে করেন আইনজীবী ডগলাস এমহফকে। এখন তিনি দুটি সন্তানের জননী।

মাইক পেন্স নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রেসিডেন্টের একজন সুযোগ্য ডেপুটি হিসেবে - যিনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগগুলো কারা পাবেন তা ঠিক করার দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তা ছাড়া মিডিয়ার সাথে কথা বলার ক্ষেত্রেও দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। তবে একসময় তিনি মি. ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করতেও পিছপা হননি। মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবকে তিনি 'অবমাননাকর এবং অসাংবিধানিক' বলেছিলেন। অবশ্য এখন তাকে প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করতে খুব কমই শোনা যায়।

২০১৩ থেকে চার বছরের জন্য ইন্ডিয়ানার গভর্নর ছিলেন মাইক পেন্স। সে সময় তিনি নিজেকে বর্ণনা করেছিলেন 'যথাক্রমে একজন খ্রিস্টান, একজন রক্ষণশীল এবং একজন রিপাবলিকান' বলে। মাইক পেন্স - যিনি তিন সন্তানের পিতা - গর্ভপাতের একজন কড়া বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ইন্ডিয়ানায় তিনি যে গর্ভপাতবিরোধী আন করেছিলেন তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কঠোর আইন। ২০১৭ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় একটি গর্ভপাত-বিরোধী সমাবেশে যোগ দেন - যা আগে কখনো হয় নি।

এখন এ দুই রানিংমেটের মধ্যে কে আগামীর আমেরিকায় ক্ষমতার সহযোগী হবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে যাবে নভেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত।

নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত