ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

আফগানিস্তানে বিউটি পার্লারগুলোর কি হবে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২১  
আপডেট :
 ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৬

আফগানিস্তানে বিউটি পার্লারগুলোর কি হবে
আফগানিস্তানের একটি বিউটি পার্লালের সামনে ছবি টাঙানো। ছবি: ডয়চে ভেলে

গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর বিউটি পার্লারে সেঁটে থাকা মেয়ে মডেলদের ছবিতে রং মাখিয়ে দেয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

কাবুলের ৪০ বছর বয়সী বিধবা সাদাফের (ছদ্মনাম) একটি বিউটি পার্লার ছিল। ২০১৫ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর এ ব্যবসা দিয়ে তিনি পাঁচ সন্তান লালনপালন করতেন। কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর কয়েকজন বন্দুকধারী সাদাফের পার্লারে ঢুকে তাকে গুলি করার হুমকি দেয়। এরপর সামনের জানালার কাচ ভেঙে দেয়। সেদিনের পর থেকে আর বাইরে বের হননি সাদাফ। তার সংসার এখন কীভাবে চলবে তিনি জানেন না।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময় বিউটি পার্লার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সে সময় মেয়েরা মুখ ঢাকা পোশাক না পরলে তাদের বেত্রাঘাত করা হতো। নখে নেল পলিশ লাগালে অনেকের আঙুলও কেটে নিয়েছে তালেবান- এমন খবরও সে সময় প্রকাশিত হয়েছিল গণমাধ্যমে।

ভুলবশত পোশাকের আড়ালে পা বের হয়ে গেলেও রাস্তায় নারীদের পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে মেকআপ পরে উপস্থিত নারীরা পুরুষদের উত্তেজিত করে বলে তালেবান মনে করে।

তালেবান আবারও ক্ষমতায় আসায় সেই ঘটনার কথা মনে করে অনেক মালিক ভয়ে পার্লার বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে গোপনভাবে কিছু পার্লারে কাজ শুরু হয়েছে বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছে আফগানিস্তান ওমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এডব্লিউসিসিআই।

প্রথম দফায় তালেবান ক্ষমতায় থাকাকালে এভাবে গোপনে বিউটি পার্লার চালু ছিল বলে জানিয়েছেন সায়মা আলী। ৬৪ বছর বয়সি সায়মা আলী এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ২০০৩ সালে কাবুলে এক বিউটি স্কুলে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে এমন গোপন সেলুনের কথা শুনেছিলেন বলে জানান।

সেসব সেলুনে তালেবানের স্ত্রীরাও যেতেন বলে তিনি শুনেছেন। সায়মা আলী বলেন, ‘বোরকা পরে থাকলেও আফগান নারীরা সবসময় তাদের চেহারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।’ তিনি বলেন, তালেবানের সময়েও বিয়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য উৎসব হয়েছে। সে কারণে গোপনে পরিচালিত সেলুনগুলো ভালো আয় করেছে।

এবার ক্ষমতায় এসে তালেবান বলেছে, তারা আগের মতো কট্টর নীতি অনুসরণ করবে না। ইসলামি আইন মেনে মেয়েরা কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এর অর্থ কী, সেটা এখনও বিস্তারিত জানায়নি। তাই সাদাফের মতো পার্লারে কাজ করা অনেকে আপাতত পরিচিত ক্লায়েন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে

বাংলাদেশ জার্নাল / টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত