ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

১১ বার ভোটের পরও স্পিকার নির্বাচনে ব্যর্থ মার্কিন কংগ্রেস

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৪৬  
আপডেট :
 ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৪৯

১১ বার ভোটের পরও স্পিকার নির্বাচনে ব্যর্থ মার্কিন কংগ্রেস
স্পিকার পদ প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থি। ছবি: সংগৃহীত

তিনদিনে ১১ বার ভোটাভুটি পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষধের স্পিকার নির্বাচিত হতে পারলেন না কেউ। ১৮৬০-এর পর থেকে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা স্পিকার হতে পারলেন না, এই নজির আর নেই। প্রতিটি ভোটেই রিপাবলিকান পার্টির ২০ জন সদস্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন। ফলে তিনি স্পিকার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা পাচ্ছেন না।

এরআগে ১৮৬০ সালে ৪৪ বার ভোটাভুটির পর স্পিকার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। তবে তখন দাস প্রথার বিষয়টি হাউসের সামনে ছিল। এখন তেমন গুরুতর কোনো বিষয় নেই। কিন্তু রিপাবলিকান দলে ম্যাকার্থির বিরোধীরা বলছেন, তারা ম্যাকার্থিকে বিশ্বাস করেন না।

গত নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর রিপাবলিকানরা হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আশা করা হয়েছিল, তারা এদিন জয়োৎসব পালন করবে কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, দলে বিদ্রোহ হয়েছে। যে ম্যাকার্থির স্পিকার হওয়ার কথা ছিল, তিনি ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন, তবে অন্য কারণে।

এবার হাউসে রিপাবলিকানদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তারা মাত্র কয়েকটি আসন বেশি জিতে ডেমোক্র্যাটদের পিছনে ফেলেছে। এই অবস্থায় দলের মধ্যে মধ্যপন্থি ও দক্ষিণপন্থিদের লড়াই একেবারে সামনে এসে পড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে এই লড়াই চলছিল। স্পিকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তা তীব্র হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ রিপাবলিকান সদস্য নর্মান বিবিসিকে বলেছেন, ম্যাকার্থির উপর তাদের আস্থা নেই। তিনি যা বলেন, তা করেন বলে তারা বিশ্বাস করেন না। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাকার্থির টিম তাদের হুমকি দিচ্ছে। বিরূপ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার কথা বলছে। আর তারা বলছেন, ব্যবস্থা নিতে হলে ম্যাকার্থিকে আগে স্পিকার হতে হবে। তারা তাকে স্পিকার হতেই দেবেন না।

এক রাজনৈতিক লবিস্ট জানিয়েছেন, ম্যাকার্থি নিজেও এই হারের জন্য দায়ী। তিনি সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেন না। কিছু নেতা তাকে ঘিরে থাকেন। দলের মধ্যে তিনি প্রচুর শত্রু তৈরি করেছেন। এই অবস্থায় তিনি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন, তাদের ভোট পাওয়ার জন্য কিছু দাবি মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।

ম্যাকার্থি অবশ্য বিক্ষুব্ধদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য করার কথা বলেছেন। আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধরা তাদের বক্তব্যে অনড়। তাদের দাবি, ম্যাকার্থিকে সরে দাঁড়াতে হবে। তাদের বিশ্বাসভাজন কোনো নেতাকে স্পিকার করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে ম্যাকার্থি তাদের আরো গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে রাজি হবেন কিনা, সেই প্রস্তাব বিক্ষুব্ধরা মানবেন কিনা, তার উপর নির্ভর করছে, কে স্পিকার হবেন।

গত তিনদিন ধরে হাউসে শুধু ভোটাভুটি হচ্ছে। আর কোনো কাজ হচ্ছে না। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য বলেছেন, ব্যক্তিগত রাজনীতির বাইরে গিয়ে দেশের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত