ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ধীরগতিতে হতাশ জাতিসংঘ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ধীরগতিতে হতাশ জাতিসংঘ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিতে ‘মিয়ানমার সরকারের ধীরগতির’ তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হওয়ায় একই সঙ্গে তিনি হতাশাও ব্যক্ত করেছেন।

শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের নিয়ে রয়টার্সের সাংবাদিক মহাসচিবের কাছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিলম্বের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করেন। একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমার সরকার এবং ডি ফেক্টো নেতা অং সান সু চির অবস্থান সম্পর্কেও জানতে চান।

রয়টার্স সাংবাদিকের ওই প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, ‘মিয়ানমারের সাথে সম্পর্কের অভাব এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার কারণে আমি পুরোপুরি হতাশ। আমরা এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দিচ্ছি যাতে তারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। ফলে বিষয়গুলো একটু বিলম্ব হচ্ছে।’

এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এটা দুঃখজনক হলেও সত্য, পরিস্থিতি যেমন হওয়ার কথা ছিল এখনও তেমন হয়নি। সব কিছু চলছে খুবই ধীর গতিতে। যদি এই সমস্যার মূল কারণ সমাধান করতে ব্যর্থতা আসে তাহলে সহিংসতা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এমনটা আমরা মিয়ানমারে সম্প্রতি দেখেছি। তাই আমি এসব মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে ভীষণ রকম হতাশ।

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যর্পণের গুরুত্ব তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, আমরা চাই এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাতে তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যান। এক্ষেত্রে প্রথম যে পদক্ষেপটা হওয়া উচিত অবশ্যই তা হলো অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের সমস্যা সমাধান। এসব মানুষের সমস্যার বিশ্বাসযোগ্য সমাধান দেওয়ার ফলেই ভবিষ্যৎ প্রত্যর্পণের পথ সুগম হবে।

চলতি মাসে এ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডির একটি নির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।

তবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানিমারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার মিয়ানমার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর হাতাশা ব্যক্ত করে জার্মান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হিউজেন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে‘খুবই সীমিত অগ্রগতি’হয়েছে এবং এ নিয়ে তারা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর রক্তক্ষয়ী অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যাকে ‘জাতিগত নিধন’হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। তাদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজরের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত