ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে নারী

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে নারী

ভারতের আসন্ন নির্বাচনে মোট ভোটারদের প্রায় অর্ধেক নারী। তবে বর্তমান লোকসভায় নারী সাংসদের সংখ্যা মাত্র ১১.৬ ভাগ। নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ ও ভূমিকা নিয়ে কিছু তথ্য থাকছে ছবিঘরে।

ক্ষমতায় যে নারীরা

১৯৬২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনেই নারী প্রার্থীরা লড়েছেন ও জয়ী হয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৬তম লোকসভায় নারী সদস্য রয়েছেন ৫৯ জন। এর মধ্যে সুস্মিতা দেব ও পুনম মহাজনের মতো তরুণ অথচ ‘হেভিওয়েট’নারী রাজনীতিক যেমন রয়েছেন, পাশাপাশি রয়েছেন উমা ভারতী, মেহবুবা মুফতি বা মানেকা গান্ধীর মতো প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিকরাও। এছাড়া, নারী রাজনীতিকরা ভারতের বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও সামলাচ্ছেন।

নির্বাচনে ‘তিনকন্যা’

ভারতের সাধারণ নির্বাচনে অন্যতম বড় ‘ফ্যাক্টর’হবেন তিন নারী। সব বিশেষজ্ঞদের একই মত, জনমত কোন পথে যাবে, তা নির্ধারণে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে৷। ক্ষমতাসীন এনডিএ-জোট ছাড়া অন্যান্য দলগুলির ভূমিকা কেমন হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করছে এই তিন নারীর প্রচারকার্য ও ক্যারিশমার ওপর।

নারী ভোটার

নারী ভোটারদের জন্য ২০১৪ সালের নির্বাচন ব্যতিক্রমী ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা কার্নেগি এনডাওমেন্ট বলছে, ভারতের ২৩টি রাজ্যে পুরুষ ভোটারদের সংখ্যায় পেছনে ফেলে দিয়েছেন নারী ভোটাররা। নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যায় পুরুষ এগিয়ে থাকলেও কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদান করার ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে, বলছে কার্নেগি’র একটি প্রতিবেদন।

নারীর ক্ষমতায়ন

ভারতে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৩০ কোটির কাছাকাছি। এর প্রায় অর্ধেক ভোটারই নারী। কিন্তু প্রতিনিধিত্বের হিসাবে সেভাবে নেই নারীর ক্ষমতা। ২০০৯ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো লোকসভা আসনের ১০ শতাংশের বেশি আসনে জয়ী হন নারী প্রার্থীরা। বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১.৬ ভাগ।

শুধু নারীদের দল

এবারের নির্বাচনে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লড়তে চলেছে শুধু নারীদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল‘ন্যাশনাল উইমেন্স পার্টি’ অর্থাৎ জাতীয় নারী দল। ডঃ শ্বেতা শেট্টি’র নেতৃত্বে এই দলটির মূল লক্ষ্য সংসদের অর্ধেক আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা। ‘মায়েদের রাজনৈতিক দল’ হিসাবে প্রচার চালানো এই দলটি লোকসভার ৫৪৩টি আসনের অর্ধেক আসনে লড়বে বলে জানা গেছে।

ভোটের মাঠেও গ্ল্যামার

নারী তারকাদের সাথে ভারতীয় সংসদের সম্পর্ক বেশ পুরোনো৷ হেমা মালিনী, কিরণ খের’এর মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা বর্তমান লোকসভার সদস্য। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকাতেও রয়েছে বেশ কিছু অভিনেত্রীর নাম৷ গতবারের মতো এবারও মুনমুন সেনের নাম থাকলেও সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় উঠছে নতুন প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান’কে নিয়ে।

২০১৯-এ বদলাবে কিছু?

কার্নেগি এনডাওমেন্টের গবেষকরা বলছেন, ‘উজ্জ্বলা’ ও ‘স্বচ্ছ ভারত’ এর মতো সামাজিক প্রকল্পের হাত ধরে নারী ভোটাররা ঝুঁকতে পারেন ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির দিকেই। এতে সাহায্য করবে ‘তিন তালাক’-কে ঘিরে বিজেপি’র আন্দোলনও। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশব্যাপী বাড়ন্ত জনপ্রিয়তা টলাতে পারে বিজেপি’র একাধিপত্য, এমনটাও মনে করছেন তারা।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত