মেয়ে-জামাই মিলে মাকে খুন, মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৪:২৬
প্রতিবেশীদের বক্তব্যে খুনের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো। পর্দাফাঁস হলো খুনির। প্রতিবেশী মহিলা জানিয়েছেন, গভীর রাতে মেয়ে ও জামাই মিলেই নিজের মাকে খুন করেছে। তারপর দেহ লুকানোর চেষ্টাও করে তারা। শেষে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মেয়ে-জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে নিহতের স্বামীর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বেহালার বকুলতলায় এই ভয়ারক ঘটনা ঘটে।
ওই প্রতিবেশী আরো জানায়, ওইদিন রাত ৩টার দিকে তিনি ও তার স্বামী জোরে কিছু পড়ার আওয়াজ পান। আওয়াজ শুনেই ফ্ল্যাটের বারান্দায় বেরিয়ে আসেন তারা। বাইরে বেরিয়ে আসতেই তাদের চোখে পড়ে ওই মহিলার মেয়ে-জামাইকে। তারা ফ্ল্যাটের গ্যারেজ খোলার চেষ্টা করছেন। আর রাস্তায় পড়ে থাকা চাদরে মরদেহ ঢাকার চেষ্টা। কিন্তু, তাদের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই দাঁড়িয়ে পড়ে দুজনে। চাদরে জড়ানো মরদেহ তখন সাইকেলে তোলার চেষ্টা করে জামাই। অনেক্ষণ চেষ্টার পর সাইকেলের উপর তুলতে পারে দুজনে। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই উল্টে যায় সাইকেলটি। এরপরই সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় জামাই। তবে, মহিলার মেয়ে তখনও রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলো। ফোন করতে দেখা যায় ওই যুবতীকে।
প্রতিবেশি ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের একদম উপরের তলায় থাকতেন তাদের মা শম্পা চক্রবর্তী। কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ে হয়। বছর ২০-২২ বয়স মেয়ের। মাঝেমাঝে বাড়িতে আসত মেয়ে। তবে, পাড়ায় কারো সাথে খুব বেশি মেলামেশা করত না। এর আগেও চুরির দায়ে ধরা পড়েছে ওই যুবতী। এদিন সকাল হতে সামনে আসে মেয়ে-জামাইয়ের কুকীর্তি।
এদিকে চাদর জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই মহিলার দেহ। দেহের পাশেই পড়েছিল ট্রলি ব্যাগ। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার গলায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা ধারালো অস্ত্রও। এই অস্ত্র দিয়েই গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরএ
