ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মুসলিমদের তাড়ানো হবে’

‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মুসলিমদের তাড়ানো হবে’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের বহু মুসলিম অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। আর জাতীয় নাগিরিক পঞ্জির (এনআরসি) মাধ্যমে এসব মুসলমানদের সেখান থেকে তাড়ানো হবে। স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা ।

বৃহস্পতিবার বিজেপি’র জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ‘কলকাতা টুয়েন্টি ফোর’ নামক এক অনলাইন পত্রিকাকে বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে আসা যে সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু লোকজন এখানে অনুপ্রবেশ করেছেন এবং তারা বহাল তবিয়তে এখানে রেশন কার্ড ও ভোটার লিস্টে নাম তুলে ভারতীয় সেজে রয়েছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে এবার এদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে।’

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তবে যারা ভারতীয় মুসলমান তারা আমাদের সমান মর্যাদা সম্পন্ন সম্পন্ন নাগরিক থাকবেন। তাদের নাগরিকত্বে কোনও কাটছাট হবেনা। ভারতীয় মুসলমান আর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক যারা আছেন, এরা সবাই ভারতীয় নাগরিক। এদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নাই।’

এর আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী ওই অনলাইনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার করা সাম্প্রতিক মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নন। এনআরসি হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তার সরকারের নেই। এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি কেন্দ্র এনআরসি বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার কিছুই করার থাকবে না।’

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে এক জনসভায় বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না। আমি আপনাদের পাহারাদার। একটা মানুষকেও বাংলা থেকে যেতে দেব না। যারাই এরাজ্য়ে বসবাস করেন তারাই বাংলার বাসিন্দা। যাদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের এখনই ভোটার তালিকায় নাম নথিভূক্ত করতে হবে। আমরা রাজ্যে কোনও ভেদাভেদ মেনে নেব না।’

মমতার এসব বক্তব্যের সমালোচনা করে এসব বলেন ওই বিজেপি নেই। এর আগে এনআরসি নিয়ে বিজয়বর্গী বলেছিলেন, ‘বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, এনআরসি করা হবেই। একজন হিন্দুকেও দেশছাড়া করা হবে না। প্রত্যেক হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত