ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেতন গ্রেডসহ অন্যান্য বিষয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে শিক্ষকের খোলা চিঠি

  মো.খাদেমুল ইসলাম মোল্লাহ

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১০:২৩

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে শিক্ষকের খোলা চিঠি

জনাব জাকির হোসেন

সহকারী শিক্ষক

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ‘মো. জাকির হোসেন’

মহোদয় কে নিয়ে আপনার স্ট্যাটাস এর জবাব সম্বন্ধে:

জনাব আপনি খুবই ভদ্রতা ও মাধুর্যতার সাথেই সাজিয়ে গুছিয়ে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের মন্তব্য সম্বন্ধে আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিষয়টি আসলে আপনি যতটা সিরিয়াসলি নিয়েছেন আসলে অতটা সিরিয়াসলি ভাবার সু্যোগ আছে বলে আমার মনে হয়না। তবে আপনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের অনেক গুলো সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন যা অত্যন্ত যৌক্তিক ও মূল্যবান। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করছেন প্রাথমিক শিক্ষার একটি সময়োপযোগী, গতিশীল ও পজিটিভ পরিবর্তন নিয়ে আসতে।

আরো পড়ুন: অবশেষে প্রাথমিকের যেসব শিক্ষকদের বেতন বেড়েছে!

শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য নিরসনে তিনি কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। তিনি মন্ত্রণালয় থেকে বেতন/গ্রেড বাড়ানোর সুপারিশ অর্থ বিভাগে পাঠিয়ে ছিলেন কিন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় সেটাকে অনুমোদন দেয়নি। এখানে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের খুব বেশি দোষ আপনি দিতে পারেন না। তিনি এখনো অনবরত চেষ্টা করেই যাচ্ছেন, শিক্ষক নেতারা এই বিষয়ে অবগত। প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের যুক্তি হলো আমার শিক্ষকরা যদি একটু ভালো বেতন পেয়ে ভাল ভাবে শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষাদান করে তাহলে তো আমাদের ক্ষতি নেই। বরং অনেক বেশিই লাভ হবে। তিনি যতটা শিক্ষক দের কে গুরুত্ব দেন বাংলাদেশের কোন মন্ত্রী তার দপ্তরের কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী দের কে তার দশ ভাগের এক ভাগ ও গুরুত্ব দেয় কিনা আমার জানা নেই। আপনি নিজেও হয়ত জেনে থাকবেন যে অনেক স্কুলের শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। অপর পক্ষে অনেক শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালনে মনোযোগী না। প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এমনও তথ্য আছে যে কিছু শিক্ষক মাসের পর মাস ক্লাস না করেও বেতন নিচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় কয়েকটি স্কুলে নিজে ভিজিট করে যা পেয়েছেন তাতে তো তিনি রীতিমতো হতাশ। অনেকদিনের জমানো হতাশা ও ক্ষোভ থেকেই হয়ত তিনি মন্তব্যটি করেছেন। তার যুক্তি হলো আমার শিক্ষকরা সবাই যোগ্য ও দক্ষ তাহলে কেন অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে বিভিন্ন স্যাটেলাইট স্কুলে ভর্তি করাবে? তিনি শিক্ষকদের কে অনেক ভালবাসেন।

আরো পড়ুন: ১১-২০ গ্রেডের পদোন্নতি চান সরকারি চাকরিজীবীরা​

শিক্ষকদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন হবে ইনশাআল্লাহ। তার একটি স্বপ্ন হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কে নিশ্চিত ও নিরাপদ একটি জীবন মানের ব্যবস্থা করা। তিনি সব সময় মনে করেন যে মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে এটাই তার প্রথম ও শেষ দায়িত্ব। তাই কিছু ক্যারিশ্মাটিক ও পজিটিভ শিক্ষক -শিক্ষার্থীবান্ধব কাজের মাধ্যমে তিনি আজীবন দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝে বেঁচে থাকতে চান। তার স্বপ্ন গুলোর মাঝে অন্যতম একটি হলো প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা। সুতরাং সন্মানিত সকল শিক্ষকদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্যটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে পজিটিভলি চিন্তা করুন। অভিভাবক একবার গালি দিলে আরেকবার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করবেন সে কথা ভুলে যাবেন না প্লিজ। জয় হোক প্রাথমিক শিক্ষার। আল্লাহ হাফেয।

বিনীত খাদেমুল ইসলাম

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত