ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

জমির মালিক সেজে কোটি টাকার প্রতারণা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:২৯  
আপডেট :
 ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩২

জমির মালিক সেজে কোটি টাকার প্রতারণা

জমির মালিক সেজে দীর্ঘদিন ধরে সহজ-সরল নিরীহ মানুষের কাছে জমি বিক্রির কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।

এরা হলেন, চান মিয়া ওরফে আসলাম খান (৫০), আবু সাঈদ ওরফে শাহিন (৪৬), মাহরুজা নিপা (৫৭), সোহেল মিয়া (৪০), লুৎফর রহমান (৫২) ও আলী হায়দার (৫৯)।

মঙ্গলবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) পুলিশ সুপার জিসানুর রহমান জিসান এই তথ্য নিশ্চিত করে করেছেন।

তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের মধ্যে একজন জমির মালিক সেজে অভিনব পন্থায় সহযোগী দালালদের মাধ্যমে ক্রেতা ঠিক করে তা বিক্রির করার কথা বলে মানুষজনকে প্রতারিত করতো। প্রতারকদের গ্রেপ্তারের আগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিআইডি ঢাকা মেট্রো-পূর্ব এর একটি টিম দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, মাহরুজা নিপা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের গ্রুপ লিডার এবং তার নেতৃত্বে চাঁন মিয়া ওরফে আসলাম জমির মালিক সাজেন। মো. আবু সাঈদ ওরফে শাহিন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া মো. সোহেল মিয়া নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে ভুয়া বায়না দলিল প্রস্তুত করেন। অপর আসামি মো. লুৎফর রহমান ও মো. আলী হায়দার জমি বিক্রির মিডিয়াম্যান হিসাবে কাজ করেন।

এই চক্রটির শিকার খোরশেদ আলম চৌধুরীকে কেরাণীগঞ্জের একটি জমি স্বল্পমূল্যে বিক্রির কথা বলে প্রতারক চক্রটি। তাকে ৪৪ শতাংশের একটি জমি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করে উপস্থাপন করে। তিনি জানান, প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে কেরাণীগঞ্জের জমিটি ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেন খোরশেদ আলম চৌধুরী। আসামিদের কথামতো গুলশান সিএফসিতে তাদের নগদ ৩০ লাখ টাকা দিলে প্রতারকচক্র তিনশ’ টাকার নন-জুডিশিয়্যাল স্ট্যাম্পে বায়না নামা দলিল সম্পাদন করে দেয়।

সিআইডির এ কর্মকর্তা আরো জানান, এরপর প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নগদ ও এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ৫৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করে। প্রতারক মাহরুজা নিপা আত্মসাতকৃত টাকা তার চক্রের সদস্যদের মধ্যে কাজের ধরন অনুযায়ী ভাগ করে দেন। বেশির ভাগ টাকা নিজেই নেন। পরে এই চক্রটি যোগাযোগের মাধ্যম পরিবর্তন করে ফেলে।

গুলশান থানায় করা মামলটি বর্তমানে সিআইডির তদন্তধীন। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য সিআইডি টিমের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান।

মনলোভা চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতারণা

পাসপোর্ট-ভিসা জালিয়াতির হোতা মাসুম আটক

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত