ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩৬তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন

  অভিজিত দেব

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৬  
আপডেট :
 ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:০৪

৩৬তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষার নাম বিসিএস পরীক্ষা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২ লক্ষের অধিক। তীব্র প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। বিগত বছর গুলোতে পিএসসি স্বচ্ছতা ও সততার সাথে সবরকম বিতর্কের ঊর্ধে থেকে বিসিএস পরীক্ষা নিয়েছে। তাই এটা নিশ্চতভাবেই বলা যায়, যারা বিসিএস যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তারা মেধার জোরেই বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপ অতিক্রম করেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, একজন পরীক্ষার্থীকে ২০০ মার্কসের প্রিলিমিনারি, ১১০০ মার্কসের লিখিত এবং ২০০ মার্কসের মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। প্রতিটি ধাপেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বাদ পড়ে। অতঃপর চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজারে। এই প্রার্থীদের মধ্যে সবাই ক্যাডার পদে সুপারিশ পান না। যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হন না তাদের মেধা নিয়ে প্রশ্ন নেই কারণ এদের বেশিরভাগই কোটাবিহীন সাধারণ প্রার্থী।

২০১৫ সালের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ৮ জানুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। দুই লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন মাত্র ১৩ হাজার ৬৭৯ জন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ১২ হাজার ৪৬৮ জন। অতঃপর, মৌখিক পরীক্ষায় মাত্র ৫৯৯০ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে ২৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতার কারণে ৩৩০৮ জন চাকরি প্রার্থীকে কোনো ক্যাডার পদে সুপারিশ করা যায়নি। এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত।

দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর রিপোর্ট অনুসারে পাবলিক সেক্টরে ৯ম ও ১০ গ্রেডের প্রায় ৭০,০০০ পদ শূন্য। কেবল ৯ম গ্রেডেই রয়েছে ৪৮০০০ পদ শূন্য। মাননীয় জনপ্রশাসন মন্ত্রী সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ বিপুল সংখ্যক পদ খালি থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমান পিএসসির মাননীয় চেয়ারম্যান পদ স্বল্পতা কারনে "ক্যাডার পদে" সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া প্রার্থীদের চাকরি দেয়ার ব্যাপরে খুবই আন্তরিক। যার প্রতিফলন আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি।

কিন্তু সরকারের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, দপ্তর, পরিদপ্তরগুলো শুন্যপদ সংক্রান্ত চাহিদা পিএসসিতে না পাঠালে পিএসসির কিছু করার থাকে না। সেক্ষেত্রে পিএসসি প্রার্থীদের খালি হাতে না ফেরানোর মানসে ১২ তম গ্রেডভূক্ত চাকরিতে সুপারিশ করে।

উল্লেখ্য যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারী পদে মেধাবীদের নিয়োগ দান একান্ত জরুরি। এক্ষেত্রে, বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ দান একটি যথার্থ সিদ্ধান্ত। কারণ পদ স্বল্পতার কারণে "ক্যাডার পদে" সুপারিশ প্রাপ্ত না হওয়া এসব নন ক্যাডার প্রার্থী দেশের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষার তিনটি ধাপ দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেধা ও শ্রম ব্যয় করেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই তরুণরা প্রজাতন্ত্রের কাজে সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন বুকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।

উক্ত বিষয়ে সুদৃষ্টি দেয়ার জন্য ৩৬তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

নিবেদক

অভিজিত দেব

৩৬ তম বিসিএস নন ক্যাডারদের পক্ষে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত