ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন, মিন্নির ইচ্ছে পূরণ!

  সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫০

প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন, মিন্নির ইচ্ছে পূরণ!
ফাইল ছবি

অবশেষে মিন্নির ইচ্ছেই পূরণ হলো! বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই ৬ জনের মধ্যে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিও একজন।

এদিকে রায় প্রকাশের পরপরই পুরোনো একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মিন্নিকে বলে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আমার স্বামী (রিফাত শরীফ) হত্যার বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসি চাই’।

গত বুধবার থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ছোট্ট এই ভিডিও ক্লিপ গণহারে শেয়ার হয়েছে। এছাড়া মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনরা কটূ কথায় ভরিয়ে দিয়েছেন।

মঈন মোশাররফ নামে এক ব্যক্তি কমেন্টস করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের পর মিন্নির ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে’।

নকীব ইয়াহিয়া নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনের ঘরে লিখেছেন, ‘সত্য সবসময় সুন্দর, মেনে নিতে হবে। এই মিন্নিই রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড।’

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে এখন এই ছয় বন্দী ব্যতীত অন্য কোনো কারাবন্দি নেই এবং নারী বন্দীদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে রয়েছেন।

বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এই মুহূর্তে বরগুনা কারাগারের কনডেম সেলে মিন্নি ব্যতীত অন্য কোনো নারী বন্দী নেই। এছাড়া আলোচিত এ হত্যা মামলার অপর ৫ পুরুষ আসামি ছাড়া কনডেম সেলে অন্য কোনো পুরুষ বন্দীও নেই।

জেল সুপার জানান, কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দীকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেয়া হয়েছে। এ পোশাক তারা পরিধান করবেন।

মামলার রায় অনুযায়ী দণ্ডিত আসামিদের আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের জন্য রায়সহ মামলার যাবতীয় নথিপত্র আগামী রোববার উচ্চ আদালতে পৌঁছাতে পারে বলে আদালতের একটি সূত্রে জানা গেছে।

কারণ কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে দণ্ডিত আসামিরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিল করতে পারবেন।

ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপার বুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন) ও সংক্ষুব্ধ পক্ষের আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।

গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।

এ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯) , আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩)।

তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। গতকাল রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, তার মেয়ে এই মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এবং হাইকোর্টে আপিল করবেন বলেও জানান।

এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। তিনি গত বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

ভিডিও ক্লিপটি দেখতে ক্লিক করুন...

আরও পড়ুন:

মিন্নির মৃত্যুদণ্ড, যা বললেন বাবা

বাড়ি ফেরা হলো না মিন্নির

ফাঁসির রায়ের পর যেমন ছিলো মিন্নির প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত