ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা, ক্ষমা চাইলেন ঢাবি অধ্যাপক রহমতুল্লাহ

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৫

খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা, ক্ষমা চাইলেন ঢাবি অধ্যাপক রহমতুল্লাহ
ছবি: বাংলাদেশ জার্নাল

বঙ্গবন্ধুর খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশতাককে অসতর্কতা বশত ও অনিচ্ছাকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমতুল্লাহ।

সোমবার সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রদ্ধার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এটি ভুলবশত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, গতকালের আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে অধ্যাপক রহমতুল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় আমি মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকার গঠন ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন এ সরকারের কর্মপরিকল্পনা এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করি। আলোচনাকালে মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’

তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীকালে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনী মোস্তাক আহমেদের প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি। আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব প্রদানকালে সর্বদা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ব্যানারে নিকট অতীতে সুনামগঞ্জের শাল্লা, কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী চক্র ও ঘোলাজলে মাছ শিকারি তথাকথিত রাজনৈতিক অপশক্তির অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিসহ জনমত গঠনে আমার ভূমিকা গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল (রোববার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে মুজিবনগর দিবসের একটি আলোচনা সভায় অধ্যাপক রহমতুল্লাহর বিরুদ্ধে খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আনা হয়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ইতোমধ্যে তার (রহমতুল্লাহ) শাস্তি দাবি করে উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত