ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

তারেকের যে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি!

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:১৮

তারেকের যে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতাশায় ভুগছে বিএনপি। দলের মধ্যে ভাঙনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। যদিও নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ হিসেবে ড. কামাম হোসের ও ফখরুলের ভূল কৌশলকে দায়ি করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে পুন: নির্বাচনেরও দাবি জানিয়ে আসছে দলের নেতারা। এ নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কোনো সাড়া না পাওয়ার বারবার জরুরী বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিএনপি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে বিএনপির এমন পরাজয় দলের কেউ মেনে নিতে পারছেন না। বিভিন্ন সময় জরুরী বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলন করলেও চোখে পড়ার মতো এখনো কোনো কর্মসূচি দেয়নি। তবে জানা গেছে, বিএনপির রাজনীতিতে বিশেষ করে যেকোনও বিষয়ে তারেক রহমানের একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আগ বাড়িয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে স্থায়ী কমিটির পাঁচজনের একটি সিন্ডিকেট কাজ করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল তারেক রহমানের। এসব কিছুর পরেও ব্যর্থ বিএনপির পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে বিএনপি। সেখান থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা বা পরামর্শ আসার আগ পর্যন্ত নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন দলের বর্তমান নীতিনির্ধারকরা। অন্তত আগামী ছয় মাস তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক নির্দেশনা পর্যবেক্ষণ করার কথা ভাবছেন তারা।

বিএনপির নেতারা মনে করেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার না করা, নির্বাচনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আশাবাদ এবং হাওয়া ভবন সংশ্লিষ্টদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়গুলো নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। এসব ক্ষেত্রে তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হয়েছে। এ কারণে তার কাছ থেকে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত আসার আগে নীতিনির্ধারকদের কেউ-ই স্বউদ্যোগে সিদ্ধান্ত নিতে চান না।

বিএনপির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে কৌশল নির্ধারণ নিয়ে ভুল হলেও তা সংশোধনের মাধ্যমে নতুন করে শুরু করতে হবে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে। স্থায়ী কমিটির ১৬ জানুয়ারির বৈঠকেও বিষয়গুলো উঠে আসে। তবে এসব বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, নির্বাচনের আগে ও পরে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে বের করা ও কর্মীদের পাশে গিয়ে নেতাদের দাঁড়ানোই এখন আসল কাজ। মানুষ নির্বাচনের বিষয়ে অবগত, সে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মানুষকে সব সময় সচেতন রাখতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক বলেন, নির্বাচনে যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন তারেক রহমানের কাজ হবে দলটি আমাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া। আমরা নিজেরা আলোচনা করে সামনের দিকে এগিয়ে নেবো। তার নির্দেশনা এলে আমাদের কাজ করার সুযোগ কম থাকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলছেন, বিএনপি সংগঠন হিসেবে তো ঠিকই আছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান মিলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। ভোট দিতে দেয়নি মানুষকে। সেখানে বিএনপির কী দোষ, সংগঠন ঠিক আছে। আওয়ামী লীগ যেভাবে সহিংসতা করে, সেভাবে তো বিএনপি করবে না। সরকারের একতরফা নির্বাচনে বিএনপি জিতেনি। এই নির্বাচন তো নির্বাচন কমিশন করেনি। আমরা এখন বিরোধী দলের রাজনীতি করবো।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত