ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

একুশ-স্বাধীনতার পদক প্রবর্তন করেছেন জিয়া: মোশাররফ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৮  
আপডেট :
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৬

একুশ-স্বাধীনতার পদক প্রবর্তন করেছেন জিয়া: মোশাররফ

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই একুশ ও স্বাধীনতার পদক প্রথম প্রবর্তন করেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বরেণ্য রাজনীতিক- কলামিস্ট তৈমুর আলম খন্দকার রচিত দুটি গ্রন্থের প্রকাশনা- পাঠ ও আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।

একুশে পদক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এধরণের বক্তব্য রাখলে, মানহারির মামলার ঝুঁকি সামনে আছে। কারণ এধরণের বক্তব্য রেখে আমি এখনো মানহানির মামলার আসামি। তাই সংবাদপত্র থেকে বলছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৭৫’র পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা না বাংলা ভাষায় বিশ্বাস করতো, না বাংলা সাহিত্য বিশ্বাস করে, না বাংলা সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। তারা আসলে আমাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। আমি যে কথাটি বলবো, সেটাও আরেকটি রেকর্ড থেকে বলবো- আমার ভয় হয়! কারণ রেফারেন্স না দিলে হয়তো আরেকটি মানহানির মামলা হতে পারে। উইকিপিডিয়ায় রেকর্ডে আছে, একুশে পদকের বিষয়ে তাদের রেকর্ড হচ্ছে, একুশে পদক জাতীয় ও বেসামরিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার। ১৯৭৬ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আর ৭৬ সালে কে ছিল? আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন?

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ৭৫’র পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা আমাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। এটার জবাবও উইকিপিডিয়ায় আছে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা পুরস্কার হলো সর্বোচ্চ পুরস্কার। আর এটা ১৯৭৭ সাল থেকে প্রচলন শুরু হয়। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ৭৫’র পরে যারা ছিল- তারা এগুলো বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু একুশে ও স্বাধীনতার পদক প্রথম প্রবর্তন করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। আমি যদি এগুলো নিজের ভাষায় বলতাম তাহলে মামলা হয়ে যেত যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেকে আমি মিথ্যাচার করেছি। আমি আর বলতে চাই না যে, মিথ্যাচার কে করেছেন!

চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এর আগে নিমতলীতে এধরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়ও আমরা শুনেছিলাম যে, চকবাজারে কেমিক্যাল থাকবে না। কিন্তু আজকে পুলিশ বলছে, সেখান থেকে শত শত ড্রাম কেমিক্যাল উদ্ধার করছে। এই সরকার তাহলে কি কাজ করছে? তারা অনেক কথাই বলেছিল। কিন্তু একটাও বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আমি মনে করি, সেখানে যেসকল কেমিক্যালের গুদাম আছে সেগুলো অপসারণ করা উচিত। অতি দ্রুত ব্যবসার জন্য রাসানিক দ্রব্য অন্য জায়গায় নিতে হবে। কারণ ব্যবসাটা করতে হবে তো। অন্যথায় চকবাজারের ট্র্যাজেডি আবার হতে পারে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমি মনে করি, বিএনপির সামনে বিরাট সুযোগ। এই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। এটা আওয়ামী লীগ করবে না। দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। আর এজন্য জনগণ ও বিএনপি প্রস্তুত আছে বলে আমি মনে করি। তবে আমাদেরকে একটু সুযোগ দেন। আমাদের দলের মধ্যে যেখানে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে পুণর্গঠন শুরু হয়েছে। কারণ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারলে আমরা জনগণকে নেতৃত্ব দিতে পারবো না।

তিনি বলেন, সময়ের অপেক্ষা করছি। এদেশের মানুষ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা মানেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা। আর গণতন্ত্রের মা হচ্ছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর তাকে ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দল মত নির্বিশেষে সবাই দায়িত্ব হচ্ছে, বেগম জিয়াকে মুক্ত করা।

মোশাররফ বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। আর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। তিনি যে মন্ত্রী সভা গঠন করেছেন, সেটাকেও আমি আরেকটি অস্বাভাবিক ঘটনা মনে করি। সুতরাং অস্বাভাবিক ঘটনা দিয়ে যেটা শুরু, সেটা বেশী দিন টিকবে না।

তিনি বলেন, অনেকে মনে করছে, বিএনপি পরাজিত হয়েছে। আমি বলি যে, আমরা পরাজিত হয়নি। আবার অনেকেই বলেন যে, বিএনপির কর্মীরা হতাশ। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, আমাদের নেতাকর্মীরা হতভম্ব। হতাশ নয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু'র সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, লেবার পার্টির চেয়ারস্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত