ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪২ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘সরকারের ‘টপ টু বটম’ দুর্নীতিতে ব্যস্ত’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৯

‘সরকারের ‘টপ টু বটম’ দুর্নীতিতে ব্যস্ত’

সরকারের ‘টপ টু বটম’ ব্যস্ত লুটপাট-ঘুষ ও দুর্নীতিতে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে ভোটারবিহীন অন্ধকারে নির্বাচিত সরকার দুর্নীতিকে পুরোমাত্রায় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে ফেলেছে। সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে সরকারের ‘টপ টু বটম’ ব্যস্ত লুটপাট-ঘুষ-দুর্নীতিতে। চারদিকে চলছে দুর্নীতির উৎসবের আতশবাজী। সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে দেশ। আইনের শাসন ও সুশাসন এখন ইতিহাসের পান্ডুলিপিতে অবস্থান করছে। দুর্নীতির বিরূপ প্রভাবে অগ্রগতি থমকে গেছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আপাতভাবে আইনের শাসনের অভাব, সুশাসনের অভাব, জবাবদিহিতার অভাব এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে দুর্নীতি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশী মিথ্যা প্রতিহিংসার মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে দেড় বছর। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর জিঘাংসার শিকার বেগম খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাই জামিনে বাধা দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়ার। তাকে বন্দী রেখে লুন্ঠন-দুঃশাসনে দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে জনধিকৃত সরকার।

সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি করলে অপরাধ হবে না- দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম কোনো অপরাধ নয়। যখন দেশে প্রশাসনিক স্তরে অতি উচ্চ মাত্রার দুর্নীতির সংস্কৃতি বিরাজমান, এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ফাইল যেতেও টেবিলের নিচে আর্থিক লেনদেন করতে হয়, তখন মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কাছে এই ‘উৎসাহ বার্তা’ দেয়া হচ্ছে যে, সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি করলে কিছু হবে না। ফলে টেবিলের ওপর দিয়েই এখন ঘুষের লেনদেন চলবে। তাতে কোন অসুবিধা নেই।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজেই যদি ‘সরল দুর্নীতির’ অভিনব বাণী জনগণকে শোনান, তাহলে দুর্নীতির জোয়ারে দেশ তো ভেসে যাবেই। এখন থেকে ‘সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি’র সাফল্যের মৌতাতে বুঁদ হয়ে থাকবে সরকারি কর্মকর্তারা। পক্ষপাতদুষ্টতার গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত দুদক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যটি অপশাসনেরই একটি বিপজ্জনক বার্তা।

দেশের উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চলে এখন বন্যায় সর্বস্বহারা মানুষের হাহাকার চলছে মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ত্রানের অভাবে যখন করুণ অবস্থা তখন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ঢাকায় বসে গলাবাজি করছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ পৌঁছেনি এখনো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের যে উদ্যোগ প্রয়োজন সেটা আমরা লক্ষ্য করছি না। সরকারের চরম উদাসীনতা প্রমাণ করে জনগণের প্রতি তাদের ন্যুনতম কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনবিদ্বেষী। সরকারের দায়িত্ব বন্যা কবলিত মানুষকে রক্ষা করা। যেটা সরকার করছে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত