ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘জয়-পুতুল সম্পৃক্ত হলে আওয়ামী লীগ লাভবান হবে’

  তৌফিক ওরিন

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:২০  
আপডেট :
 ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:২৭

‘জয়-পুতুল সম্পৃক্ত হলে আওয়ামী লীগ লাভবান হবে’

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলনে গঠিত কমিটিতে চমক হিসেবে যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি।

দেলোয়ার ১৯৮৭ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুর লক্ষ্মীনারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকাকালে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেন ১৯৮৯ সালের দিকে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যখন দায়িত্ব পালন করেছিলেন; তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের ছাত্র। স্নাতকে পড়ার পাশাপাশি ১৯৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই শেষ হয় তার ছাত্র রাজনীতির পর্ব।

২০১২ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। একই সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটিতে দায়িত্বরত ছিলেন।

সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগের কাউন্সিলসহ দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সাথে কথা বলেছেন দেলোয়ার হোসেন। সেই আলাপে উঠে এসেছে আসন্ন সম্মেলনের বিভিন্ন দিক। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলাদেশ জার্নালের নিজস্ব প্রতিবেদক তৌফিক ওরিন

বাংলাদেশ জার্নাল: আমরা লক্ষ্য করেছি, দলে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনে নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে অনেক তরুণ নেতৃত্ব বের হেয়ে আসবে বলেও শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

দেলোয়ার হোসেন: শুদ্ধি অভিযান হচ্ছে, এটি সারা দেশে হওয়ার কথা। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চাই, এটা আমাদের টার্গেট। মানুষ যেটা চিন্তা করে সেটা আওয়ামী লীগ ধারণ করে। আমাদের সমাজে যত অনিয়ম রয়েছে সেগুলো আমরা দূর করতে চাই। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। আর এটার শুরুটা হয়েছে আমাদের পার্টি থেকে। আমাদের পার্টিতে যাদের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার মাধ্যমে এগোচ্ছেন। এখন আপাতত মনে হয় যে এটা একটু থেমে গেছে। কারণটা হচ্ছে এখন বিজয়ের মাস এবং আমাদের সম্মেলন। এ কারণেই ওটা একটু চাপা পড়ে আছে। নেত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন সম্মেলন শেষ হলে আগামী মাস থেকে নতুন মাত্রায় এটি শুরু করা হবে। অন্য শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে যাতে ভূল বার্তা না যায়, অথবা আস্থাহীনতার জায়গা যাতে তৈরি না হয়। বিএনপির মধ্যে দুর্নীতিপরায়ন লোক নাই বা অন্য দলে এমন লোক নাই, প্রশাসন বা বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মধ্যে যে দুর্নীতি পরায়ন লোক নাই ব্যাপারটা এরকম না। এখন আপাতত মনে হয় যে আওয়ামী লীগের সব নেতারাই এসবের সাথে জড়িত। কিন্তু এটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্য চাপ হয়তো কেউ কেউ মনে করেন।

আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির জন্য কি করবে সেজন্য একটি টার্গেট নির্ধারণ করে। সে টার্গেট অনুসারে কাজ করে। সেই নির্ধারিত টার্গেট অনুযায়ী দেখার বিষয় আমরা কত দূর যেতে পারি। আমাদের দলের যে ঘোষণাপত্র, নির্বাচনের যে মেনুফেস্ট দেয়া হয়েছে সেখানে বলা হয় আমরা কি করতে চাই। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে কোন পর্যায়ে নিতে চাই সেজন্য টার্গেট নির্ধারণ করি। প্রথমত আমরা রাজনৈতিক দল, দলীয়ভাবে আমরা চিন্তা করি। তারপরে মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাই। আমাদেরকে যদি ভোট দেয়, আমাদের মেনুফেস্ট, আমাদের ঘোষণাপত্র যদি পছন্দ হয়, সেই ক্ষেত্রে আমরা মানুষকে সম্পৃক্ত করি। এভাবে আমরা কাজ করি।

আওয়ামী লীগ দুর্নীতিবাজদের দল না। দুর্নীতিবাজদের আওয়ামী লীগ প্রশ্রয় দেয় না, আমাদের নেত্রী দুর্নীতিবাজদের পছন্দ করেন না। এ ক্ষেত্রে আমাদের নীতি জিরো টরারেন্স। আওয়ামী লীগ সেবা সম্পৃক্ত কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত করতে আমাদের নেত্রী সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক উভয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। এটা আমাদের দায়বদ্ধতা।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগ টার্গেট নিয়ে এগোয়। আপনারা জাতির সামনে যে ভিশন বা লক্ষ্য দিয়েছে সেটি বাস্তবায়নে আগামী কমিটি তারুন্যনির্ভর হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে আপনার চিন্তা-ভাবনাটা কেমন?

দেলোয়ার হোসেন: আমি নিজেই তরুণদের প্রতিনিধি। গতবার আমার মত বেশ কয়েকজন তরুণ আওয়ামী লীগে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় তরুণদের উপর আস্থা রাখে। পৃথিবীতে সব বড় রাজনৈতিক সংগঠন বা সামাজিক সংগঠন তারুন্য নির্ভর। যত বড় মুভমেন্ট হয়েছে, তরুণরা তার নেতৃত্ব দিয়েছে। কারণ তরুণরাই ঝুকিটা বেশি নেয়। আওয়ামী লীগের শুরু থেকে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এছাড়া তরুণদের পাশাপাশি প্রবীনদের অভিজ্ঞতা এখানে সমন্বয় করার ব্যাপার রয়েছে। নবীন- প্রবীনের সমন্বয় করা হলে যে কোন কিছুই বেশি গতিশীল হয়। এছাড়া প্রতি ১০ বছর পর একটি জেনারেশনের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগ নতুন জেনারেশনকে আকৃষ্ট করা এবং ধরে রাখা, সেখান থেকে তরুণদের নিয়ে দলকে গতিশীল করা, সেই সুযোগ আওয়ামী লীগ নিচ্ছে।

আমরা আরো একটি সুযোগ চাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরো আগে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটেছে। আমাদের মত তৃতীত বিশ্বের দেশে সেটি বিস্তার লাভের জন্য যে অবকাঠামো বা অর্থ প্রয়োজন সেটা আমাদের দেশে অপ্রতুল। তবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই পদে দায়িত্ব নেয়ার পর দেশে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। মানুষের দোড়গোড়ায় সহজভাবে প্রযুক্তির ছোয়া পৌছে দিয়েছেন। তার কারণেই বর্তমানে বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। প্রযুক্তি নিয়ে যে স্বপ্ন ছিলো সেটার বাস্তবায়ন ঘটেছে। এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন যে প্রযুক্তিবিদ ঘটিয়েছেন তাকে যদি আমাদের মত রাজনৈতিক দলের প্লাটফর্মে পাই, তার আরো যদি সুচিন্তা থাকে যে আওয়ামী লীগের প্লাটফর্ম ব্যাবহার করলে তরুণরা আরো উপকৃত হত সেক্ষেত্রে আমরা-তরুণরা তার সাথে কাজ করতে চাই।

আমাদের দেশে এক সময় বাড়িতে বিকলঙ্গ শিশু থাকলে কেউ সামনে নিয়ে আসতো না। একজন প্রতিবন্ধি শিশুরও যে অধিকার আছে, তাকে যে মূল আলোতে নিয়ে আসা যায় সে চিন্তাটা কিন্তু আমাদের দেশের অন্য কেউ করেনি। সেটা শেখ হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতল সবার আগে চিন্তা করেছেন। শুধু চিন্তা করেই শেষ করেননি, ওটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। একজন প্রতিবন্ধি শিশুকে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মূল ধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমাজের জন্য করার জন্য শুধু দেশেই না, তারা দুইজনেই (জয়-পুতুল) আন্তর্জাতিক বিশ্বে পরিচিত। শেখ হাসিনার সন্তান হিসেবে নয়, একজন স্বপ্নবান তরুন হিসেবে, মানবতার কল্যানে কাজ করা একজন নারী হিসেবে যদি আওয়ামী লীগের প্লাটফর্মে আমরা তাদেরকে পাই সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যেমন সমৃদ্ধ হবে। তেমনি আমরা যারা আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করি আমরাও উপকৃত হবো। সর্বোপরি দেশ উপকৃত হবে। পার্টিতে আমাদের মত যারা তরুন রয়েছে, আমরা সকলে এই দুই তরুন তরুনীর সাথে কাজ করতে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল: আমাদের দেশে তরুনরা রাজনীতিতে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বিভিন্ন গবেষণায় সেটা উঠেও আসছে। তরুণদের রাজনীতিমুখী করতে আপনাদের পদক্ষেপটা কি হবে?

দেলোয়ার হোসেন: এটি দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে যুক্তিটি সঠিক। আগে যে পরিমাণ তরুণ-তরুণী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতো সেটার পরিমাণ কমেছে। যে সময়টার কথা বলা হয় সে সময়টায় দেশের জন্য জন্য আন্দোলন ছিল, সংগ্রাম ছিল। আমরা যারা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার আছি এখনো দেশের স্বার্থে সবাই রাজনৈতিক সচেতন হয়ে উঠবো, এক প্লাটফর্মে চলে আসবো। আমরা দেশের জন্য করি তবে সেটা বিভিন্ন সেক্টরে ভাগভাগ করে। এখন নানা দার উন্মুক্ত হয়েছে। শুধু মাত্র পলিটিক্স করে হিরো হবে সেটা নয়। তখনকার দিনে পলিটিশিয়ানরা নানা কাজ করতো। এখন আমরা বিভিন্ন সুযোগের কারণে কিংবা প্রতিযোগিতার কারণে এক জায়গা থেকে বেছে নিচ্ছি ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্ম। আগে সেক্টর অবজ্ঞার সাথে দেখা হত, এখন সেগুলোর মর্যাদা পাচ্ছে। এখন মানুষ ঐ একটি জায়গায় না গিয়ে অর্থাৎ রাজনীতি না করে অনান্য সেক্টরে ডুকে যাচ্ছেন। তবে সামাজের সেবা করা বা রাষ্ট্রের সেবা করা, সেই পয়েন্টে সবাই এক জায়গায় রয়েছে। সাবার টার্গেট দেশকে কিছু দেয়া, এটা যদি আমরা কাউন্ট করি সেক্ষেত্রে অতীতে যে পরিমান লোক রাজনীতি সচেতন, সমাজ সচেতন ছিলো, এখন অনেক বেশি পরিমান লোক রাজনীতি সচেতন।

বাংলাদেশ জার্নাল: আওয়ামী লীগ তরুণদের আরো বেশি সক্রিয় করার জন্য কি করবে?

দেলোয়ার হোসেন: আওয়ামী লীগ তরুণদের জন্য একটা প্লাটফর্ম করে দিয়েছে। আমাদের স্টুডেন্ট উইংস রয়েছে সেটা পুরোপুরি তারুণ্য নির্ভর। সেটা শেষ করার পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগে সম্পুক্ত হতে পারবে। ওগুলোও তারুণ্য নির্ভর। নারীদের সম্পৃকক্ত করার জন্য যুব মহিলা লীগ রয়েছে। এই সব সেক্টরে যে সমস্ত তরুণ-তরুণী কাজ করে তাদেরকে মূল নেতৃত্বেও সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে ভালো করছে তাদেরও আওয়ামী লীগ সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেনীপেশার তরুণদের আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ত করছে। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সাথে তরুণদের সম্পৃক্ত করে তাদের নির্দশনা অনুযায়ী আমরা আগামীর লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। তরুণদের আকৃষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগের মূল কমিটিতেও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞ, যারা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেছে তাদেরকে সম্পৃক্ত করছে। পাশাপাশি আগামী দিনের জন্য অর্থাৎ নেতৃত্ব সংকট যাতে সৃষ্টি না হয় দক্ষ রাজনীতিবিদ তৈরি করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: গত সম্মেলনেরও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অবসরের কথা বলেছিলেন সেটা নেতাকর্মীরা কেউ মানেন নি। পরবর্তীতে এক সাক্ষাতকারেও এমন ইঙ্গিত দিলেও নেতাকর্মীরা মানেন নি। এ বিষয়টা বিষয়টা কিভাবে দেখছে? একই সাথে সজিব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের রাজনীতিতে আসা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?

দেলোয়ার হোসেন: এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জন্য শেখ হাসিনা অপরিহার্য। তার কোন বিকল্প নেই এবং বিকল্প চিন্তাও আওয়ামী লীগ করে না। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার বিকল্প চিন্তা করে না। শেখ হাসিনা শুধু দলের জন্য নয়, বাংলাদেশে তার বিকল্প নেই। এই উপমহাদেশে কোন সমস্যা হলে বহিবিশ্ব তাকিয়ে থাকেন যে শেখ হাসিনার ভূমিকা কি। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে সারা বিশ্বে এই আন্দোলনের প্রথম ৫ জনের মধ্যে অন্যতম নেতা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রীকে সারা বিশ্ব সমিহ করে। উনার উপর ২১বার আঘাত এসেছে, মাহন আল্লাহ তাকে বাচিয়ে রেখেছেন। বাচিয়ে রাখার সুফল বাংলাদেশ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটার ব্যখ্যা করেছেন শেখ হাসিনা।

আমরা চাচ্ছি যে দুইজন তরুণ-তরুণী (জয়-পুতুল) রয়েছে, তাদেরকে যদি আওয়ামী লীগের কমিটিতে যেন সম্পৃক্ত করা হয়। সেই দাবি বা অনুরোধ আমরা করি। বর্তমানে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। তবে পরবর্তী জেনারেশনের জন্য এই কমিটিতে তাদের সম্পৃক্ত করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগ লাভবান হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: দেশের এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন কি ধরণের প্রভাব বিস্তার করবে বা ফলপ্রসু হবে?

দেলোয়ার হোসেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সব থেকে প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ, এটি সবচেয়ে বড় দল এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে। একারণে সাধারণ মানুষের আওয়ামী লীগের কাছে প্রত্যাশাও বেশি। শেখ হাসিনা এমন লোককে নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন যাদের উপর মানুষ আস্থা রাখে। মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে শুধু উন্নয়ন প্রত্যাশা করে না। সমাজকে ইতিবাচকবাবে পরিবর্তনের দিকে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের পার্টি।

উগ্রবাদীদের দাপট বিশ্ব রাজনীতিতে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিতে বিভিন্ন মনীষির আবির্ভাব ঘটেছে। সমসাময়িক বিশ্বে এমন কোন মডেল নেই যাকে বিশ্ববাসী ফলো করতে পারে। উগ্রবাদীদের থাবা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। যারা সমাজকে সুস্থ ধারায় নিয়ে আসতে চায় তারা কোনঠাসা রয়েছে। পৃথিবীকে হুমকির মুখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উগ্রবাদীদের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্যই সৃষ্টিশীল, চিন্তাশীল এবং মানবিক মানুষের দরকার। শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে একজন।

আমাদের উপর ১০ লাখ মানুষকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হওয়ার পরেও আমরা মানবিক কারণে তাদেককে আশ্রয় দিয়েছি। এমন নজির পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। শেখ হাসিনা যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানুষের জন্য কাজ করেন এটাই হচ্ছে বড় উদাহারণ।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত