ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কখন করাবেন করোনাভাইরাসের টেস্ট?

কখন করাবেন করোনাভাইরাসের টেস্ট?

বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা মহামারি। বাদ যায়নি আমাদের প্রিয় দেশও। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন করোনা আক্রান্তের খবর জানা যাচ্ছে। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো শুধুমাত্র জ্বর হলেই কি একজনের করোনাভাইরাস টেস্ট করা জরুরি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদশের ১৭ কোটি মানুষের সবার জন্য করোনা টেস্টিং কিড জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই আপনি নিজে বা পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে খানিকটা নিশ্চিত হয়েই আইইডিসিআরের কোভিড-১৯’র হেল্পলাইনে কল করতে হবে।

প্রথম কথা হচ্ছে করোনা এক ধরনের ভাইরাস জ্বর। আপনার বা আপনার পরিবারের কারো জ্বর হয়ে থাকলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। যাকে বলে আইসোলেশন। এরপর মনোযোগের সঙ্গে তার বাকি লক্ষণগুলো খেয়াল করতে হবে।

প্রথম ৩ দিন অল্প জ্বরের সঙ্গে শুকনো কাশি ও হালকা গলা ব্যাথা থাকবে। চতুর্থ দিন এর সঙ্গে হালকা মাথাব্যথা যুক্ত হবে। পঞ্চমদিনে জ্বরের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে আপনার কাশিও বাড়তে পারে

পরের দুই দিনে মাথা ব্যথা কমে গেলেও ডায়রিয়া এবং পেট ব্যথা থেকে যেতে পারে। এ অবস্থায় ক্ষুধা কমে যাবে, শরীরে ব্যথা হবে এবং জ্বর হবে।

অষ্টম দিনে আপনার লক্ষণগুলো ভালোভাবে খেয়াল করুন। আপনার কি জ্বর কমে এসেছে, মাথা ব্যথা কমে এসছে, আপনি কি কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন? আপনার কেবল সর্দি আর কফের সমস্যা আছে এবং আপনি অন্য দিনের তুলনায় অনেক সুস্থ বোধ করছেন। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে আপনার বডি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে ফেলেছে। তাই আপনার লক্ষণগুলো কমে গেছে এবং আপনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

কিন্তু নবম দিনের পরও যদি আপরার শরীরের অবস্থার কোন উন্নতি না হয় এবং জ্বর ও শ্বাসকষ্ট আরও বাড়তে থাকে, সেইসঙ্গে শরীর আরও দুর্বল হচ্ছে মনে হয় সেক্ষেত্রে আর দেরি না করা যাবে না। দ্রুত আইইডিসিআরের হেল্পলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

তাই জ্বর নিয়ে খামোখা টেনশন না করে ঘরেই থাকুন এবং লক্ষণগুলো ভালোভাবে খেয়াল করুন। আর স্বাভাবিক জ্বরে তো বড় কোনও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ারও কোনও দরকার নেই। আপনার এলাকার চিকিৎসকই তো যথেষ্ট।

তাই করোনা নিয়ে খামোখা টেনশন না বাড়িয়ে, বাড়িতে আনন্দে দিন কাটান এবং স্বাস্থ্যকর জীবন মেনে চলুন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত