ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নেয়া লিমার সংবাদ সম্মেলন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৫৩
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিয়ের দাবীতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে অবস্থান নেয়া যুবলীগ নেতার সাবেক স্ত্রী জুয়েনা হোসেন লিমা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার একটি রেষ্টুরেন্টে নিজের দশ বছরের পুত্রসন্তানকে নিয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন লিমা।
লিখিত বক্তব্যে লিমা বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়ে লিমার বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবুউবায়দা সাফির সাথে। ২০১৭ সালে একটি মামলায় সাফি জেলে গেলে খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সায়েম হোসেন সুজন খোজখবর নেয়ার জন্যে তাদের বাড়ীতে আসে। একদিন বাড়ীর লোকজনদের অনুপস্থিতিতে জোরপূর্বক সুজন লিমার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এবং এই সময়ে মোবাইলে তা ধারণ করে। পরবর্তিতে ভিডিওছড়িয়ে দেবার হুমকি ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থায়ী করে। স্বামী জেল থেকে বের হয়ে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে তালাক দিলে লিমা ঢাকায় বাবার বাড়ীতে চলে আসে।
আরও পড়ুন : সেই যুবলীগ নেতার স্ত্রীর পাহারায় পুলিশ
তিনি বলেন, সম্প্রতি সুজন তাদের অন্তরঙ্গ ছবি বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দিলে বিয়ের দাবীতে লিমা ঢাকা থেকে গত ২ ফেব্রুয়ারি সুজনের বাড়ীতে চলে আসে। সুজন বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। এরপর তালা ভেঙ্গে লিমা সুজনের বাড়ীর বারান্দায় অবস্থান করে। দু’দিনের মাথায় পুলিশ গভীর রাতে তাকে সুজনের বাড়ী থেকে থানায় নিয়ে আসে।
লিমা আরও বলেন, এসময় লিমা মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরদিন সকালে পুলিশতাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তিতে সুজনের লোকজনদের হামলা ও গণধর্ষনের হুমকিতে লিমা আর ওই বাড়ীতে ফিরে না যেতে পেরে খোকসায় এক বান্ধবীর বাড়ীতে পালিয়ে থাকে। আজ সম্মান ও নিজের আত্মপরিচয়ের দাবীতে এবং সুজনের বিচারের দাবীতে সে অনেকটা লুকিয়ে কুষ্টিয়া শহরে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
আরও পড়ুন : সেই নারীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিলো পুলিশ
লিমা জানান, সুজন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় সেই প্রভাবে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে খোকসা থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে লিমা কে সুজনের বাড়ী থেকে নিয়ে আসা হয়। আর লিমা কোন মামলা দেয়নি।
জেডআই
