ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেহালা শিখতেন শেখ হাসিনা, গিটার বাজাতেন শেখ কামাল

বেহালা শিখতেন শেখ হাসিনা, গিটার বাজাতেন শেখ কামাল

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি কর্মের বিভিন্ন দিক স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বেশি কিছু বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। শুধু এটুকুই বলবো, প্রতিটি বাঙালির জীবনে তিনি উজ্জ্বল বাতিঘর। তার সৃষ্টির ঝর্ণাধারায় আমরা অবগাহন করি প্রতিনিয়ত।

শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলে, আমাদের বাড়ির পরিবেশটাই ছিল অন্যরকম। বইপড়া, কবিতা আবৃত্তি বা সঙ্গীত চর্চা- একটা সাংস্কৃতিক আবহ বিরাজ করতো বাড়িতে। আমার ছোটবোন শেখ রেহানা গান শিখতো ছায়ানটে, আমি নিজে বেহালা বাজানো শেখার চেষ্টা করেছিলাম কিছুকাল, ছোটভাই শেখ কামাল গিটার বাজাতো। আমরা ভাইবোনেরা সবাই কোনো না কোনো সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত ছিলাম।

রবীন্দ্রনাথ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার আব্বা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমার নিজের কিছু কথা বলি। আমরা ছোটবেলায় আব্বার ভরাট কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের কবিতার আবৃতি শুনতাম। অনেক সময় স্টিমারে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার সময় তিনি কবিতা আবৃতি করতেন।

আব্বার কয়েকটি প্রিয় পঙক্তি ছিল- ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে...’ অথবা ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই/নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’ কিংবা ‘যেতে নাহি দিব। হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।’

অন্ধকার কারাগারে বই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আব্বা রবীন্দ্রনাথকে মনেপ্রাণে ধারণ করতেন। পাকিস্তান আমলে তাকে প্রায়ই জেলে যেতে হতো। তাকে রাখা হতো নির্জন সেলে। অন্ধকার কারাগারে তার সঙ্গী হত বই। আব্বা যে বইগুলো সঙ্গে নিতেন তারমধ্যে রবীন্দ্র রচনাবলী অবশ্যই থাকতো। রবীন্দ্রনাথের দ্বারা বঙ্গবন্ধু এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত করে রেখেছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত