'আমি তো ডাক্তারের মুখই দেখিনি'

রংপুর সার্কিট হাউজে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর হয়ে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এসময় তিনি মাদক বিরোধী অভিযান সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তো চিকিৎসা পাচ্ছেন, অথচ আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসা তো দূরের কথা ডাক্তারের চেহারাও দেখি নাই। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’ শুক্রবার রংপুর সার্কিট হাউজে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে’

এরশাদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান ছিলেন। তার স্ত্রী হিসেবে তিনিও সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে পারেন। আমি নিজেই সেখানে চিকিৎসা নেই।’

মাদক নির্মূলে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করে এরশাদ বলেন, ‘মাদক দমন করতে গিয়ে কিছু লোক যদি মারা যায় তা গ্রহণ করা উচিত। ছোট ছোট চুনোপুটি মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও গডফাদাররা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। এখন তাদের রাজপ্রাসাদ খালি, রাজা নেই। যতদিন পর্যন্ত মাদক নির্মূল করা যাবে না ততদিন অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত।’

আসন্ন গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে আসেন এরশাদ। এ সময় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। সফরসঙ্গী হিসেবে এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ বাবলু, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর খালেদ আখতার, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য নেতারা।

এনএইচ/