ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ক্রনিক রোগে ভুগছেন ব্যারিস্টার মঈনুল’

  রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৫

ক্রনিক রোগে ভুগছেন মঈনুল: চিকিৎসক

রংপুরে মানহানির মামলায় কারাবন্দি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ক্রনিক রোগে ভুগছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার এক্সরে, ইজিসি, রক্ত ও ইউরিনসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার নাথ বলেন, হাইকোর্ট থেকে আসা নির্দেশনা মোতাবেক ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. দেবেন্দ্র নাথ সরকারের নেতৃত্বে ব্যারিস্টার মঈনুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেন- নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান মোবাশশের হোসেন সুজা, নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এমদাদুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. রবীন্দ্র নাথ বর্মন এবং অ্যান্ড্রোকাইনোলজি বিভাগের ডা. কামরুল হাসান।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. দেবেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি ক্রনিক রোগে ভুগছেন। এখন তার পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে চিকিৎসা দিতে হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) জরুরি ভিত্তিতে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রংপুর কারা কর্তৃপক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

একই সঙ্গে অন্য কোনো জেলায় স্থানান্তরের সময় তাকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত।

ব্যারিস্টার মঈনুলের পক্ষে করা পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে একাত্তর টিভির একটি অনুষ্ঠানে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর রংপুরে মামলা দায়ের করেন নারী অধিকারকর্মী মিলি মায়া বেগম। ওই মামলায় গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে আদালতে নিয়ে জামিন আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঈনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা এবং অপর দুটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত