ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

অভিযোগ তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার

নতুন প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহ দিচ্ছে ‘দেবী’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১৪  
আপডেট :
 ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২২

নতুন প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহ দিচ্ছে ‘দেবী’

সদ্য মুক্তি পাওয়া বাংলা চলচ্চিত্র ‘দেবী’র বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করেছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা। বুধবার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করে বলেছে, আইন অনুযায়ী ধূমপানের দৃশ্য দেখানো নিষিদ্ধ হলেও রাষ্ট্রীয় অনুদান পাওয়া দেবী চলচ্চিত্রে বার বার ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে চলচ্চিত্রটির ফার্স্টলুক পোস্টারেও ধূমপানের দৃশ্য ব্যবহার করা হয়। তবে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে সেটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। গত ১৯ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে ‘দেবী’।

বিবৃতিতে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫(ঙ) ধারায় চলচ্চিত্র, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে ধূমপান ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য দেখানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি এটি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক একলাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই ব্যক্তি পুনরায় একই অপরাধ করলে দণ্ড দ্বিগুণ হবে।

আইন অনুসারে, ২০১৩ সালের ২ মে’র পর বাংলাদেশে নির্মিত যে কোনও চলচ্চিত্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য দেখানো দণ্ডণীয় অপরাধ। অথচ গত ১৯ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘দেবী’ চলছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে। শুধু তা-ই নয়, চলচ্চিত্রটির পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ অক্টোবর যে ট্রেইলার মুক্তি দেওয়া হয়, তাতেও আইন মানা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যম ব্যবহার করে পরোক্ষভাবে ধূমপান ও অন্যান্য তামাকপণ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পৌরুষ, গ্ল্যামার, তীক্ষ্ম বুদ্ধি ইত্যাদি গুণাবলীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে দেখানো হয়। প্রয়াত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুযমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট ‘মিসির আলি’ বাংলাদেশে কিশোর ও তরুণ পাঠকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এক জনপ্রিয় চরিত্র। বিজ্ঞানমনস্ক গবেষক, নিখুঁত পর্যবেক্ষক ও অনন্য রসবোধের অধিকারী এই মিসির আলিকে ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তেমনটা চালু থাকলে মিসির আলি চরিত্র অনুসরণ করা অসংখ্য কিশোর ও তরুণ ধূমপানকে তার গুণাবলীর অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হিসেবে ধরে নিতে পারে, যা সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যকে চরম ঝুঁকিতে ফেলবে।

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত জাতি গড়ার সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে থাকা বাংলাদেশের এখনই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত